পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

দেখেন এবার বড় সঙ্কট,—দামোদরে বন্যা আসিয়াছে। পারের উপায় একমাত্র নৌকা তাহা অপর পারে। নৌকা আসিয়া লইয়া গেলে সময়ে বাটী পৌছান হয় না, মাতার দুঃখের উপশম হয় না। তখন মাতার চরণ স্মরণ করিয়া কূলপ্লাবী, খরস্রোত, ভীষণ দামোদর বক্ষে আত্মসমর্পণ করিলেন, সন্তরণ দ্বারা পার হইবার সঙ্কল্প করিলেন। তীরে যাহারা বসিয়া পারের ভাবনা ভাবিতে ছিল তাহারা পাগল ভাবিয়া প্রথমে নিবারণ করিল, কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাতে কর্ণপাত করিলেন না, আপনার মনে সন্তরণ করিয়া দামোদর অতিক্রম করিয়া যথাসময়ে মায়ের শ্রীচরণ দর্শন করিয়া জীবন সার্থক করিলেন। এটা কি বলিবেন—নিতান্ত একগুঁয়েমি না? আমাদের দেশে ইহা একগুঁয়েমি, গোঁয়ারতামি আর যাহার যাহা বলিতে হয় সমস্তই, কিন্তু দেশান্তরে বা সময়ান্তরে হইলে, ইহাই বীরোচিত একাগ্রতা, পুরুষোচিত আত্মনির্ভরতাদি নানারূপে প্রশংসিত হইত। এরূপ অসীম