পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ
বিষয় নয়, প্রেসিডেন্সি কলেজের সাহিত্য দর্শন অথবা গণিতের এমন-কোনো অধ্যাপককে আপনি যদি তাঁহার অন্যান্য কাজের সঙ্গে তাঁহাকে আইন পড়াইতে নিযুক্ত করেন, তাহা হইলে তাহার যে ফল হয়, তাহা বিবেচনা করিলে প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটির গোলযোগ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা করিতে পারিবেন। আইন-ব্যবসায়ীরা যে এই পদ্ধতি সমর্থন করিবেন না সে-সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ নাই, অথচ সংস্কৃত কলেজে স্মৃতিশাস্ত্র শিক্ষা দিবার জন্য এইরূপ বন্দোবস্তের প্রস্তাবই করা হইয়াছে। পণ্ডিত মহেশচন্দ্রের গুণ এবং পাণ্ডিত্য সম্বন্ধে আমি উচ্চ ধারণা পোষণ করি, কিন্তু আমার ভয় হয়, এতগুলি কাজের ভার একসঙ্গে তাঁহাকে দিলে শুধু স্মৃতির অধ্যাপনা কেন, যে-বিষয়গুলি পড়াইতে তিনি বিশেষরূপে উপযুক্ত সেইগুলির অধ্যাপনাতেও ত্রুটি হইবে। আপনি বলিয়াছেন, ‘স্মৃতিশাস্ত্রের অধ্যাপনার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করা হইবে, এই ইচ্ছা আছে এবং বরাবরই ছিল।’ কিন্তু আপনি যে ব্যবস্থা করিয়াছেন তাহাতে আপনার ইচ্ছা সুসিদ্ধ হইবে না। অতএব আপনার আদেশের এই অংশটি পুনর্বিবেচনা করিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করি। এই অধ্যাপক পদ তুলিয়া দেওয়াতে মাসে একশত টাকা মাত্র ব্যয়সঙ্কোচ হইবে, এই টাকা এতই অল্প যে আমি একান্তভাবে আশা করি, হিন্দুসমাজের কথা ভাবিয়া আপনি এ-বিষয়ে এই সুবিধাটুকু করিয়া দিবেন।...
“স্মৃতির অধ্যাপক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত ব্যবস্থার পরামর্শ, আপনাকে আমি দিয়াছি—সরকারী পত্রের লিখনরীতি হইতে ইহা অনুমিত হইতে পারে। এ-সম্বন্ধে হিন্দুসমাজের আগ্রহ এত বেশী যে তজ্জন্য লোকে আমাকে ভুল বুঝিতে পারে। এই কারণে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করিতেছি, সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠনের প্রস্তাব