পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৬

কলিকাতায় আসিলাম। বৃহস্পতিবারে সকালে শুনিলাম-বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বর্গারোহণ করিয়াছেন। বহুতর লোক খালি-পায়ে তাঁহার বাড়িতে যাইতেছে। আমি তাহাই করিলাম। দেখিলাম—তাঁহার বাড়িতে অনেক লোক। সকলেই উৎসুক হইয়া শুনিতেছে—কমন করিয়া তাঁহার মৃত্যু হইল, কেমন করিয়া তাঁহাকে লইয়া যাওয়া হইল, কোথায় কোথায় তাঁহার খাট নামানো হইল। আমিও একমনে তাহাই শুনিতে লাগিলাম। সেখানে একজন লোকের সঙ্গে দেখা হইল। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সেজভাই শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন। তিনিই আমাকে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করিয়া দিয়া আসেন, প্রিন্সিপাল প্রসন্নবাবুর কাছে আমাকে চিনাইয়া দিয়া আসেন এবং দশ-পনর দিন সকালে আমার পড়া বলিয়া দিয়া আমার যথেষ্ট উপকার করেন। তিনি দাদার মৃত্যুতে বড়ই কঁদিতে লাগিলেন। আমি তাঁহাকে অনেক সান্ত্বনা দিলাম, কিন্তু তাঁহার কান্না থামিল না।