পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিবেদন

 পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিপসাগরের অনেকগুলি জীবনচরিত আছে। তাহার মধ্যে সহোদর শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন (১ম সং সেপ্টেম্বর ১৮৯১), চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১ম সং মে ১৮৯৫) এবং বিহারীলাল সরকার (১ম সং সেপ্টেম্বর ১৮৯৫) রচিত জীবনচরিত তিনখানি অপেক্ষাকৃত বড় ও বিবিধ তথ্যে পুর্ণ। আবার, এই তিনখানি গ্রন্থের সমস্ত প্রয়োজনীয় কথা— অনেক নূতন তথ্য সমেত—সুবলচন্দ্র মিত্র প্রকাশিত বিদ্যাসাগরের ইংরেজী জীবনীর দ্বিতীয় সংস্করণে (১৯০৭) স্থান পাইয়াছে। এ অবস্থায় অনেকে হয়ত বলিতে পারেন, এতগুলি জীবনচরিত থাকিতে আবার নুতন করিয়া ‘বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ’ প্রকাশের সার্থকতা কি? এ সম্বন্ধে আমার একটু কৈফিয়ৎ আছে। এই-সকল জীবনচরিতে সমাজ-সংস্কার, লোকসেবা প্রভৃতি কার্য্যে বিদ্যাসাগরের কীর্তির কথা যেরূপ পূর্ণভাবে আলোচিত হইয়াছে, স্বদেশে শিক্ষাবিস্তার কার্যে তাঁহার অতুলনীয় কীর্ত্তির কথা সেরূপভাবে আলোচিত হয় নাই। প্রধানতঃ এই অভাব পুরণার্থই বর্তমান পুস্তক রচিত হইয়াছে। জীবনচরিত-রচনার নানা পদ্ধতি আছে। ঐতিহাসিক তথ্যের দিক দিয়াও জীবনী লেখা যায়। আমি সেই চেষ্টা করিয়াছি। বাংলা ও ভারত গভর্ন্মেণ্টের দপ্তরখানায় অনুসন্ধানের ফলে, শিক্ষা-বিভাগের কর্ম্মচারী এবং বে-সরকারী পরামর্শদাতা রূপে বিদ্যাসাগরের সহিত সরকারের যে পত্র-ব্যবহার[১] হইয়াছিল,


  1. এই সকল পত্র ইংরেজীতে লিখিত। এগুলি আমি প্রথমে মডার্ণ রিভিউ পত্রে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯২৭, মে-জুন ১৯২৮, মে ১৯২৯, সেপ্টেম্বর ১৯৩০) ও ১৯২৭ সালের বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটির জর্ণালে (N.S. XXIII) প্রকাশ করি।