“৭। শিক্ষকের কোথাও না গিয়া নিজেদের নির্দিষ্ট স্থানেই যাহাতে যথানিয়মে বেতন পান, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে।
“৮। হুগলী, নদীয়া, বর্দ্ধমান ও মেদিনীপুর—এই চারিটি জেলা বর্ত্তমানে কাজের জন্য নির্বাচিত করিয়া লইতে হইবে। উপস্থিত পঁচিশটি বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়া উচিত। প্রয়োজনানুসারে জেলা চারিটির মধ্যে এইগুলি ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে। নগর এবং গ্রামের এমন স্থানে স্কুলগুলি প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে যেন তাহার নিকটে কোনো ইংরেজী কলেজ বা স্কুল না থাকে। ইংরেজী কলেজ ও স্কুলের আশপাশে বাংলা-শিক্ষা ব্যাপকভাবে আদৃত হয় না।
“৯। কর্ম্মকুশল সুদক্ষ তত্ত্বাবধানের উপরও বটে, এবং কৃতবিদ্য ছাত্রদের উৎসাহদানের উপরও বটে, বাংলা-শিক্ষার সাফল্য বহুপরিমাণে নির্ভর করে। জ্ঞানের জন্যই জ্ঞানোপার্জ্জন সাধারণ দেশবাসীর এখনও উদ্দেশ্য হইয়া দাঁড়ায় নাই। এই কারণে, ছোটলাট হার্ডিঞ্জের প্রস্তাব—যাহা এতদিন চাপা ছিল—দৃঢ়ভাবে প্রযুক্ত হওয়া দরকার।
“১০। তত্ত্বাবধানের নিম্নলিখিত উপায় বিশেষ কার্যকর এবং অল্পব্যয়সাধ্য হইবে।
“১১। যাতায়াতের ব্যয়সুদ্ধ, মাসিক ১৫০৲ টাকা বেতনে দুইজন বাঙালী তত্ত্বাবধায়ক রাখা প্রয়োজন;—একজন মেদিনীপুর ও হুগলীর জন্য, আর একজন নদীয়া ও বর্দ্ধমানের জন্য। তাহাদের