পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলা-শিক্ষা প্রচলনে বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টা
৩৩

কাজ হইবে—ঘন ঘন স্কুলগুলি পরিদর্শন করা, শ্রেণীগুলির পরীক্ষা লওয়া, এবং শিক্ষা-প্রণালী সংশোধন করা।

“১২।  সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রধান তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হইবেন। ইহার জন্য তাঁহাকে অতিরিক্ত কোনো পারিশ্রমিক দিতে হইবে না; কেবলমাত্র যাতায়াতের খরচা দিলেই চলিবে। এই বাবদ বৎসরে ৩০০৲ টাকার বেশী ব্যয় হইবে না। তিনি বৎসরে একবার স্কুলগুলি পরিদর্শন করিয়া কর্ত্তৃপক্ষকে বিপোর্ট দিবেন। কর্ত্তৃপক্ষের উপরই বাংলা স্কুলগুলির পরিচালনার ভার ন্যস্ত থাকিবে।

“১৩।  গ্রন্থ-প্রণয়ন, এবং পুস্তক ও শিক্ষক নির্ব্বাচনের ভার প্রধান তত্ত্বাবধায়কের উপর থাকিবে।

“১৪।  সংস্কৃত কলেজ সাধারণ শিক্ষার এক কেন্দ্রভূমি হইয়াও বাংলা শিক্ষক গড়িবার জন্য নর্ম্মাল স্কুলরূপে পরিগণিত হইবে।

“১৫।  এমনিভাবে শিক্ষক শিক্ষাদান, পাঠ্যপুস্তক রচনা ও গ্রহণ, শিক্ষক-নির্ব্বাচন, এবং সাধারণ তত্ত্বাবধানের ভার একই পদে যুক্ত হইলে, অনেক অসুবিধা হইতে অব্যাহতি পাওয়া যাইবে।

“১৬।  মাসিক একশত টাকা বেতনে, প্রধান তত্ত্বাবধায়কের একজন সহকারী নিযুক্ত করিতে হইবে। তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষকে শিক্ষক-তৈয়ারী ও পাঠ্যপুস্তক-প্রণয়নে সাহায্য করিবেন এবং প্রধান তত্ত্বাবধায়ক বাংলা স্কুল-পরিদর্শনে বাহির হইলে তাঁহার স্থানে অস্থায়িভাবে কাজ চালাইবেন।

“১৭।  গুরুমহাশয়-চালিত এখনকার পাঠশালাগুলি কোন কাজেরই নয়। যে-কাজে তাহারা অযোগ্য, এই-সকল শিক্ষক সেই কজ হাতে লওয়াতে পাঠশালাগুলির অবস্থা শোচনীয়। তত্ত্বাবধায়কদের কাজ হইবে এইসকল পাঠশালা পরিদর্শন করা এবং শিক্ষাদানের রীতি সম্বন্ধে গুরুমহাশয়দের যথাসাধ্য উপদেশ