বিদ্যাসাগর। মাঝে মাঝে মডেল বঙ্গবিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনের জন্য বাহির হইতে পারেন, এ-সম্বন্ধে বড়লাটের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু বিলাতের পত্র অনুসারে তাঁহাকে বাংলা-শিক্ষা-ব্যবস্থার সুপারিনটেণ্ডেণ্ট করা যায় না;—এ কার্য ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্ষ্ট্রাক্শন্ এবং তদধীন ইনস্পেক্টর দ্বারা চালিত হইবে।[১]
ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্ষ্ট্রাক্শন্ নিযুক্ত হইলেন। তবু হ্যালিডে অনুভব করিতে লাগিলেন, যদি বঙ্গদেশে বাংলা-শিক্ষার ব্যবস্থা সফল করিয়া তুলিতে হয়, তাহা হইলে বিদ্যাসাগরের মত লোকের সাহায্য ব্যতীত সে কার্য্য অসম্ভব। ডিরেক্টরকে লিখিত বাংলা-গভর্ন্মেণ্টের এক খানি পত্রে প্রকাশ:—
উত্তরে ডিরেক্টর প্রস্তাব করিলেন, স্থায়ী কর্ম্মচারী—মিঃ প্র্যাটকে না পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যাসাগরকে অস্থায়িভাবে ইন্স্পেক্টর অফ স্কুলের কাজে লাগানো যাইতে পারে। এ প্রস্তাব কিন্তু ছোটলাটের মনঃপূত হইল না। তিনি মিনিটে লিখিলেন—