পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলা-শিক্ষা প্রচলনে বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টা
৩৯
লইয়া যাওয়া হয়, তবে সত্যই তাহা দুঃখের কথা” (১১ই এপ্রিল, ১৮৫৫)[১]

১৮৫৫, ২০এ এপ্রিল তারিখে বাংলা-সরকার ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকশন্‌কে এই সুরে পত্র লিখিলেন,—

“ছোটলাট পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রের মত বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ লোককে ঐরূপ একটা অস্থায়ী পদে নিযুক্ত করিবার বিরোধী। অতি অল্পদিনের কাজে পণ্ডিত কোনকিছু করিয়া উঠিতে পারিবেন বলিয়া মনে হয় না। এরূপ নিয়োেগ তাঁহার চরিত্র ও গুণের যোগ্য হইবে না। যে-কোনো মুহূর্তে বিদায় করিয়া দেওয়া যাইতে পারে—এমন অস্থায়ী ব্যবস্থা করিলে পণ্ডিতের প্রতি সরকারের অবিচার হইবে। “ছোটলাটের মত এই, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মাকে এখনই অনুমোদিত ব্যবস্থা-অনুসারে কাজ করিতে নির্দ্দেশ করা হোক। পণ্ডিতের সহিত পরামর্শ করিয়া, কলিকাতার নিকটবর্তী তিন-চারিটি জেলা কর্ম্মক্ষেত্ররূপে বাছিয়া লওয়া হোক। ইহাতে—অন্তত এই সময়টায়—পণ্ডিতের কলেজের কাজে বিশেষ বাধা জন্মিবে না।... সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে বেতন ছাড়া, পণ্ডিত এই কাজ করিবার কালে মাসিক দুই শত টাকা এবং যাতায়াতের পথ-খরচা পাইবেন।”[২]

 ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকশন্ তখনই বিদ্যাসাগরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং শিক্ষা-সম্বন্ধে তাঁহার সহিত নানা বিষয়ের পরামর্শ করিলেন। তাঁহাকে দক্ষিণ-বাংলার বিদ্যালয়-সমুহের সহকারী

  1. ‘'Education Con. 10 May 1855,'’ No. 73.
  2. Education Con. 10 May 1855,'’ No. 74.