পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ
সম্ভব। দূরবর্তী স্থানের অন্যবিধ কর্ত্তব্যের গুরুভার যাঁহার উপর ন্যস্ত, কর্ত্তৃত্বের বিশেষ উচ্চপদেও যিনি অবস্থিত ন’ন, এমন একব্যক্তি কর্ত্তৃপক্ষের বিশেষ সাহায্য ও সহানুভূতি ব্যতীতও গ্রাম-সমূহে যদি এতটা করিয়া থাকিতে পারেন, সরকারের অনুমোদন ও সাহায্য পাইলে সেইদিকে কতটাই না তিনি করিতে পারিতেন? আর যদি আন্তরিক প্রচেষ্টাসত্ত্বেও ইহাতে সেই কর্ম্মচারীর অপমান ও আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করিতে হয়, তাহা হইলে স্ত্রীশিক্ষার প্রচারে কি নিরুৎসাহের ভাবই না আসিয়া পড়িবে?[১]

 ছোটলাট ডিরেক্টরের অনুরোধ-পত্র সমর্থন করিয়া এবং “সংস্কৃত কলেজের অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও কৃতী অধ্যক্ষের আড়ম্বরহীন উৎসাহের” কথা উল্লেখ করিয়া ভারত-সরকারকে ব্যাপারটা পুনরায় বিবেচনা করিতে অনুরোধ করিলেন। (২২ জুলাই, ১৮৫৮)।[২]

 কোনো আদেশ দিবার পূর্ব্বে, ভারকার জানিতে চাহিলেন, “পণ্ডিত কেন ও কিরূপ অবস্থায় টাকা মঞ্জুর হইবে ধরিয়া লইয়া, বালিকাবিদ্যালয় স্থাপনে এত ভারী রকমের খরচ করিতে উৎসাহশীল হইলেন। আর যে-উৎসাহ পাইয়া পণ্ডিত বলিতেছেন, তিনি এই-সব কাজ করিয়াছেন, তাহার জন্য দায়ী কে? বাংলা-সরকারের ১৮৫৮, ১৩ই এপ্রিল লিখিত পত্রের পূর্ব্বেই প্রায় অর্ধেক বালিকা-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ইহা বাংলা-সরকারের জানা ছিল কি না? থাকিলে, সে কথা উল্লেখ করা হয় নাই কেন?”

 ভারত সরকারের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যাসাগর ডিরেক্টর অফ পাব্‌লিক ইন্‌ষ্ট্রাকশনকে লিখিলেন:—

  1. Education Con. 5 August, 1858, No. 14.
  2. Ibid., No 17.