পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তারে বিদ্যাসাগর
৫৫
“সরকারের মঞ্জুরীতে পূর্ব্বেই এইরূপ ভিত্তির উপর কতকগুলি বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছিল। আমিও তাই বিশ্বাস করিয়াছিলাম সরকার সাধারণভাবে ইহা অনুমোনই করেন। প্রত্যেক নূতন স্কুল প্রতিষ্ঠার সংবাদ যে-মাসে খোলা হইল ঠিক তাহার পরের মাসেই আপনাকে জানাইয়া আসিয়াছি। যদিও কোনো লিখিত আদেশ পাস করা হয় নাই, তবুও স্কুলের ব্যয়-সংক্রান্ত আমার নিবেদন-পত্রগুলি সকল সময়েই গ্রাহ্য হইয়াছে। সরকারের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করিতেছি—ইহাই আমার বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাস-বশে আমি এতদিন যে কাজ করিতেছিলাম তাহাতে কোনদিন আমাকে নিরুৎসাহিত করাও হয় নাই।” (৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৮)[১]

 ডিরেক্টর বিদ্যাসাগরের পত্রখানি বাংলা-সরকারের কাছে পাঠাইয়া দিলেন। মন্তব্য করিলেন:—

“কলিকাতা হইতে আমার অনুপস্থিতিকালে পণ্ডিত ছোটলাটের সহিত সাক্ষাৎ-আলাপে এ বিষয়ে কথাবার্ত্তা কহিতেন,—ইহাই আমার জানা ছিল। আপনার ২১এ অক্টোবরের পত্র হইতে অনুমান করিয়াছিলাম যে সরকার তাঁহার কার্য্য সুদৃষ্টিতেই দেখেন; সেই হেতু পণ্ডিতের রিপোর্টগুলি সরকারকে পাঠাইতে বিলম্ব করি নাই, সেগুলির উপর কোনো মন্তব্য করি নাই, কিংবা তাঁহাকে নিরুৎসাহও করি নাই। আমার অনুপস্থিতিতে মিঃ উড্‌রোও তাহাই করিয়াছেন।” (৪ অক্টোবর, ১৮৫৮)

 ছোটলাট ভারত সরকারের কাছে সমস্ত কথা পরিষ্কারভাবে খুলিয়া বলিলেন। তিনি দেখাইয়া দিলেন, “ব্যাপারটি আগাগোড়া এক

  1. Education Con. 2 Decr. 1858, No. 4.