পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭০
বিদ্যাসাগর।

ফেলতেন না। তিনি প্রায়ই বলিতেন, “যাকে রাখ, সেই রাখে।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্নে বীটন্ সাহেবের স্মরণার্থ “বীটন- সোসাইটী” প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভায় তল্লিখিত সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত-সাহিত্য-শাস্ত্রবিষয়ক প্রবন্ধ পঠিত হইয়াছিল।[১] এই প্রবন্ধ ১৯১৯ সংবতের ১৪ই চৈত্র বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ১৮ই এপ্রিল পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয়। প্রবন্ধে নিম্নলিখিত বিষয়ের আলোচনা হইয়াছিল; সংস্কৃত ভাষা,—সাহিত্যশাস্ত্র,—(মহাকাব্য) রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, কিরাতার্জ্জুনীয়, শিশুপালবধ, নৈষধ-চরিত, ভট্টিকাব্য, রাধবপাণ্ডবীয়. গীতগোবিন্দ; (খণ্ডকাব্য)—মেঘদূত, ঋতুসংহার, নলোদয়, সূর্য্যশতক; (কোষকাব্য)—অমরুশতক, শান্তিশতক, নীতিশতক, শৃঙ্গারশতক, বৈরাগ্যশতক, আর্য্যাসপ্তশশী; (চম্পূকাব্য)— কাদম্বরী দশকুমার-চরিত, বাসবদত্তা; (দৃশ্য-কাব্য)— অভিজ্ঞান-শকুন্তল, বিক্রমোর্ব্বশী মালবিকাগ্নিমিত্র, বীরচরিত, উত্তর- চরিত, মালতী-মাধব, রত্নাবলী, নাগানন্দ, মৃচ্ছকটিক, মুদ্রারাক্ষস, বেণীসংহার; (নীতি গ্রন্থ)—পঞ্চতন্ত্র, হিতোপদেশ এবং কথাসরিৎসাগর।

 ১২ পেজি ডিমাই আকারে ৮৯ পৃষ্ঠায় পুস্তকখানি সম্পূর্ণ। বিষয়-বিবেচনায় আলোচনা যে অতি সংক্ষিপ্তসার হইয়াছ, এ কথা তিনি নিজেই স্বীকার করিয়াছেন। এতৎসম্বন্ধে তিনি যাহা লিখিয়াছেন তা নিয়ে উদ্ধত হইল,—

  1. শুনা যায় ৺প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী মহাশয় এই প্রবন্ধের ইংরেজী অনুবাদ পাঠ করিয়াছিলেন।