পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
২৮৭

বেশী দিন থাকিবে না। এক দিন শাস্ত্রাচারের বিলোপ হইবে, ইহা শাস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণী। তবে এখনও সমাজ যে ভাবে চলিতেছে, তাহাতে বিধবা-বিবাহ যে শীঘ্র প্রচলিত হইবে না, তাহা বুঝা যাইতেছে। তখন ব্রাহ্মণপরিচালিত হিন্দুর প্রাধান্য জন্য বিধবা-বিবাহ হিন্দুসমাজে প্রচলিত হয় নাই; এখনও হইবে না, যত দিন হিন্দুর প্রাধান্য থাকিবে, তত দিন হইবে না। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের আন্দোলন প্রথম উত্থাপিত করেন, এমন নহে। তাঁহার প্রায় ১৯ কি ২০ বৎসর পূর্ব্বে মধ্যপ্রদেশ-নাগপুরের এক মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ এ বিষয়ের আন্দোলন তুলিয়াছিলেন। সে আন্দোলনে ফল হয় নাই। দেড় শত বৎসর পূর্ব্বে ঢাকার রাজা রাজললভ বিধবা বিবাহ চালাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনিও কৃতকার্য হন নাই। বিধবা-বিবাহ শাস্ত্রসম্মত হইলে, রাজবল্লভের ন্যায় শক্তিশালী পুরুষ কি চালাইতে পারিতেন না? সে সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় কোন কোন ভ্রান্ত পণ্ডিত বিধবা-বিবাহের পক্ষ সমর্থনে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন। ঠিক এই সময় কোটার রাজাও বিধবা-বিবাহ চালাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ-মনোরথ হইয়াছিলেন। যখন একজন শক্তিশালী রাজা বার্থ-মনোরথ, তখন অন্যে পরে কা কথা। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবা বিবাহ-বিষয়িণী পুস্তিকা প্রকাশিত হইবার ২০ বৎসর পূর্ব্বে মাদ্রাজের এক ব্রাহ্মণ এতৎসম্বন্ধে আইন করাইবার জন্য চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাঁহার চেষ্টা ফলবতী হয় নাই। দশ বৎসর পূর্ব্বে ইহার আন্দোলন হইয়াছিল। এ আলোলন নিষ্ফল হয়। সুবর্ণ-বণিক জাতিরা কলিকাতা সহরের প্রসিদ্ধ