পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
২৯১

 যাহা হউক, বিধবা-বিবাহ সংক্রান্ত দ্বিতীয় পুস্তকে বিদ্যাসাগরের পাণ্ডিত্য ও গবেষণার পূর্ণ পরিচয় সন্দেহ নাই। তবে সেই সময়ে প্রধান প্রধান পণ্ডিতগণ বিধরা-বিবাদের বিরুদ্ধে মত দিছিলেন। ৺কাশীধামের খ্যাতনামা বহু পণ্ডিত ইহার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিয়াছিলেন। রাধাকান্ত দেব কলিকাতার শক্তিশালী সর্বোন্নত সমাজপতি। তিনি বিধবা-বিবাহের অযৌক্তিকতা প্রমাণ জন্য বহু বিখ্যাত পণ্ডিতের ব্যবস্থা সংগ্রহ করিয়াছিলেন। তৎকালীন ধর্ম্মসভা হিন্দুসমাজের প্রধান প্রতিনিধিস্বরূপ ছিলেন। এই সভার পণ্ডিমণ্ডলী বিধবাবিবাহের বিরুদ্ধে মত দিয়াছিলেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়, আপন মত সমর্থনকারীদের মধ্যে এই কয়টী পণ্ডিতের নামোল্লেখ করিয়াছেন,—পণ্ডিত ভরত শিরোমণি, তারানাথ বাচস্পতি ও গিরিশ্চন্দ্র বিদ্যারত্ন। ইঁহার তাঁহার মতপোষক কতকগুলি রচন উদ্ধার করিয়া সাহায্য করিয়াছিলেন। বলা বাহুল্য, ইঁহার তৎকালে সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অধীনে চাকুরী করিতেন।

 জন কতক ভ্রান্ত পণ্ডিত, ইংরেজী-শিক্ষিত ব্য বঙ্গীয় যুবক এবং ধনাঢ্য জমীদার বিধবা-বিবাহের পক্ষসমর্থন করিয়াছিলেন মাত্র। বিধবা-বিরাহ শাস্ত্রসঙ্গত হইলে, দেশের এত বড় বড় বিজ্ঞ পণ্ডিত ও সন্ত্রান্ত ধনাঢ্য মহোদয়গণ, কখন কি ইহার বিপক্ষবাদী হইতেন? শাস্ত্রানভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ-শাসিত হিন্দু বুঝে, বৈধব্য পূর্ব্বজন্মের কর্ম্মফল; ব্রহ্মচর্য্য়ই বিধবার পালনীয়। যাঁহারা মনে করেন এবং বলেন, বিধবা কন্যা বা ভগিনী, পিতা বা ভ্রাতাকে বনিতাসুখসম্ভোগ করিতে দেখিযা, তপ্তশ্বাস পরিত্যাগ করেন; এবং হিন্দু-