বিদ্যাসুন্দর। হাত নেড়ে হীরা বলে থাক মেনে থাক । বুঝা গেল আর মেনে বাড়া কথা রাখ ॥ আমি ঘরে চোর পুষি কহগে রাজারে । ওরে বেট। ঠেটা এটা কহে কেটা মোরে ॥ লাফ দিয়া কোতোয়াল চুলে ধরে তার । দেখতে হারামজাদী এ কাপড় কার । মজাইতে কুল ফুল যোগাইতে নিত্য। এ কলঙ্ক রহিল যাবৎ চন্দ্রাদিত্য ৷ নিৰ্ম্মল রাজার কুণে তুই দিলি কালী। আরো করে। অtটুনি কুটনী মাগী শালী ॥ পয়জার চট চট কিল গুম গুম। অকপাক ঘুরাইল আর কোথা ঘুম ॥ মারণের চোটে বটে ভয়ে ভূত ছাড়ে। বুকে হাটু দিয়া ঠেঙ্গ তুল্যে বান্ধে ঘাড়ে। তখনি কান্দিয়া কহে ভাইরে বাঘাই । নারীহত্য। কারওনা জল দেও খাই ॥ কাতর দেখিয়া তার বন্ধন খুলিল । হাসিয়া কোটাল তামে ধরিয়৷ তুলিল। রাখিল নজরবন্দী সোয়ার হাওয়ালে। কই চোর চোর বলি চৌদিকে নেহালে॥ ফুলের বাগান ভেঙ্গে তচনচ করে। নেজ হাতে কোতোয়াল ঢুকে তার ঘরে। সুন্দর সানন্দে জপে মহাকালী মন্ত্র । কোন কিছু নাহি জানে কোটালের তন্ত্র }
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
