পাতা:বিপ্রদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর পরে আর কেহ কথা কয় নি, এখন আপনি যদি কিছু করতে পারেন। খরচ বিশ-পঁচিশ হাজারের কম যাবে না । খরচ কি সব ছোটবাবুৱা ? ई, ऊiई cड ! বন্দনা জিজ্ঞাসা করিল, এ কি তঁর পক্ষে খুব বেশী মনে হয় দত্তমশাই ? বিরাজ দত্ত বলিলেন, খুব বেশী না হলেও সম্প্রতি গেলও যে অনেক দিদি ৷ এখন সামলে চলার প্রয়োজন। এর উপর নতুন বিপদ আসতেই বা কতক্ষণ ? আবার নতুন বিপদ কিসের ? দত্ত ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া বলিলেন, আপনি কি শোনেননি। জামাইবাবুর সঙ্গে মামলা বেঁধেচে ? এ-সব বস্তুর পরিণাম ত জানেন, ফলাফল কেহ বলতে পারে না। } তবে নিষেধ করেননি কেন ? নিষেধ ? এ তো বড়বাবু নয় দিদি, যে নিষেধ মানবেন। একে নিষেধ করতে শুধু একজনই ছিলেন তিনি এখন স্বৰ্গে। বলিয়া বিরাজ দত্ত নিশ্বাস ফেলিলেন । বন্দনা। আর কোন প্রশ্ন করিল না। বাড়ির কাছে আসিয়া দেখিল সুমুখের মাঠের একদিকে কাঠ কাটিয়া স্তৃপাকার করা হইয়াছে। যে-সকল চাল-ঘর দয়াময়ীর ব্ৰতোপলক্ষে সেদিন তৈরী হইয়াছিল, সেগুলো মেরামত হইতেছে, বাহির প্রাঙ্গণে বিরাট মণ্ডপ নিমিত হইতেছে, তথায় বহু লোক বিবিধ কাজে নিযুক্ত । বিরাজ দত্ত অত্যুক্তি করে নাই বন্দনা তাহ’ বুঝিল । গাড়ী হইতে নামিয়া সে সোজা উপরে গিয়া উঠিল। প্রথমেই গেল দ্বিজদাসের ঘরে । একটা মোটা বালিশে হেলান দিয়া সে বিছানায় স্তইয়াছিল, পর্দা সরানোর শব্দে চোখ মেলিয়া উঠিয়া বসিল, বলিল, বন্ধু আপনি এলে আমার ঘরের দোরগোড়ায় । বন্দনা বলিল, হঁ। এলোই তা। কিন্তু এমন সময়ে শুয়ে কেন ? দ্বিপ্নদাস বলিল, চোখ বুজে তোমাকেই ধ্যান করছিলুম। আর মনে মনে বলছিলুম, বন্দনা, দুঃখের সীমা নেই আমার। দেহে নেই বল, মনে নেই ভরসা, বােধ করি আর ঠেলতে পারব না, নৌকা মাঝখানেই ডুববে । ও-পারে পেঁৗছনো আর ঘটবে না । বন্দন বলিল, ঘটতেই হবে। তোমাকে ছুটি দিয়ে এইবার নৌকা বাইবার ভার नव अभि ! তাই নাও । রাগ করে চলে যে ও না। እኳ” ቖ