পাতা:বিপ্রদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিন কয়েক সতীর কাছেই থাকবে। কিন্তু একবার যখন শাড়ীতে গিয়ে উঠেছে তখন अत्र नञ्च न । s বিপ্ৰদাস জবাব দিলেন না, নিঃশব্দে তঁহার পিছনে পিছনে গিয়া মোটরে উঠলেন । গাড়ী ছাড়িয়া দিল। অকস্মাৎ উপরের দিকে চাহিতেই বন্দন দেখিতে পাইল তোতলার লাইব্রেরী-ঘরের জানালার গরাদ ধরিয়া দ্বিজদাস চুপ করিয়া দাড়াইয়া আছে। চোখা-চোখি হইতেই সে হাত তুলিয়া নমস্কার করিল। ষ্টেশনে পৌছিয়া খবর পাওয়া গেল, কোথায় কি একটা আকস্মিক দুর্ঘটনায় জন্য ট্রেনের আজ বহু বিলম্ব ; বোধ করি বা এক ঘণ্টারও বেশি লেট হইবে। পরিচিত ষ্টেশনমাষ্টারটিও হঠাৎ পীড়িত হওয়ায় একজন মাদ্রাজী রিলিভিং হাণ্ড কাল হইতে কাজ করিতেছিল, সে সঠিক সংবাদ কিছু দিতে পারিল না, শুধু অনুমান করিল যে, দেরি এক ঘণ্টাও হইতে পারে, দুঘণ্টাও হইতে পারে। বিপ্ৰদাস সাহেবের মুখের দিকে চাহিয়া কহিদ, কলকাতায় পৌছতে রাত্রি হয়ে যাবে, আজ কি না গেলেই চলে না ? কেন চলবে না ? আমার তবন্দনা বাধা দিয়া বলিয়া উঠিল, না বাবা, সে হয় না ; একবার বেরিয়ে এসে আৰু ফিরে যাওয়া চলে না । বিপ্রদাস অনুনয়ের সুরে কহিল, কেন চলবে না বন্দনা ? বিশেষতঃ তুমি না। খেয়ে এসেচ, সারাদিন কি উপোস করেই কাটাবে ? বন্দনা মাথা নাড়িয়া বলিল, আমার ক্ষিদে নেই। ফিরে গেলেও আমি খেতে | *द कीं । সাহেব মনে মনে ক্ষুন্ন হইলেন, কহিলেন, এদের শিক্ষা-দীক্ষাই আলাদা । একবার জিদ ধরলে আর টলান যায় না । বিপ্ৰগাস চুপ করিয়া বুহিল, আর অনুরোধ করিল না। ষ্টেশনটি বড় না হইলেণ্ড একটি ছোট গোছের ওয়েটিও রুম ছিল ; সেখানে গিয়া দেখা গেল, একজন ছোকরা বয়সের বাঙালী-সাহেব ও তঁহার স্ত্রী ঘরখানি পূৰ্বত্ত্বেই দখলে আনিয়াছেন। সাহেব সম্ভবতঃ ব্যারিষ্টার কিংবা ডাক্তার কিংবা বিলাতী পাশকরা প্রফেসারও হইতে পারেন। এ অঞ্চলে কোথায় আসিয়াছিলেন, সে একটা রহস্য। আরাম-কেন্দারার দুই হাতলে পদদ্বয় দীর্ঘপ্রসারিত করিয়া অৰ্দ্ধ সুপ্ত। R Y