পাতা:বিপ্রদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার নাটকীয় উক্তিতে বন্দন আর একবার হাসিয়া বলিল, সোনার লঙ্কাৱ সবটা ত পোড়েনি। দ্বিজুৱাবু, অশোক-কানানটা বুক্ষে পেয়েছিল। হৃদয় বিদীর্ণ না হতেও পারে। } দ্বিজদাস মাথা নাড়িয়া বলিল, সে আশ্বাস বৃথা, শ্ৰীৱামচন্দ্রের বরাতের জোর ছিল, কিন্তু আমি সৰ্ব্ববাদিসম্মত হতভাগ্য দ্বিজদাস। আমার দগ্ধ অদৃষ্ট সমস্ত আশাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে--কিছুই অবশিষ্ট নেই। नों बाभ्रनेि । কি যায়নি ? বন্দনা জোর দিয়া বলিল, কিছুই যায়নি। দ্বিজদাস হতভাগ্য বলে বন্দনা হতভাগিনী নয়। আমার অদৃষ্টকে পুড়িয়ে ছাই করে এ সাধ্য সুধীরের নেই। সংসারে কারও নেই, মায়েরও না, আপনার দাদারণ্ড না । তাহার শান্ত দৃঢ় কণ্ঠস্বরে দ্বিজদাস অবাক হইয়া চাহিয়া রহিল। চুপ করে রইলেন যে ? আমার মনের কথা। আপনি টের পাননি? আজ কি এই ছালনা করতে চান ? না, ছলনা করতে চাইনে বন্দনা, অনুমান করেছিলুম তা মানি। কিন্তু সন্দেহও ছিল প্রচুর। বন্দনা কহিল, সে সন্দেহ , ঘোল আজ থেকে যায়। ক্ষণকাল তাহার প্রতি চাহিয়া থাকিয়া বলিল, কিন্তু সন্দেহ আমার তা ছিল না। সেই প্রথম দিন থেকেই না। বাড়ী থেকে স্বাগ করে চলে এলুম, একলা উপরের ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে ইঙ্গিমুক্ত ক্ষমাকে বিদায় দিলেন, মাত্র একটি বেলার পরিচয়, তবু কি অৰ্থ তাঁর আমার কৰ্ম্মইও अँ অস্পষ্ট ছিল ভাবেন ? দ্বিগ্ৰাস প্লঞ্জাৱী চাহিয়া আছে দেখিয়া বন্দনা বলিল, গেল সন্দেহ ? দ্ধিজাহ্মণবািল, গুঞ্জাৰ হয় একটু তাড়া দিলেই যাৰে। কিন্তু ভাবচি, আমার সংশয়-নিরসনে এই পদ্ধতিই কি চিরকাল চালাৰে । बक्रीन ঐস্ট্রিগুক্তিকালের बादश्। अitश उ अiश्क। क्लि नवल लाभs cष তাচ্ছিল্যের অভিনয় করে তাকে বোঝাবার আর কোন পথ নেই। কিন্তু সে আমি নয়, মা। তাকে বােঝাবে কি করে । বন্দনা বলিল, মা আপনি বুঝবেন । আমাকে তিনি মেয়ের মতো ভালবাসেন । আজি হঠাৎ যত চঞ্চল হয়েই যান, যা জেনে গেছেন সে যে সত্যি নয় একথা মাকেই যদি না বোঝাতে পারি। আমি কিসের আশা করি বলুন ত! আমার কোন ভাবনা •ላ©