পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩২
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

জীবনের আদর্শ, কারণ, এটা আমাদের জাতীয় আদর্শ। আমাদের জীবনে তা’ সফল কর্তে পারি না পারি সেই আদর্শকে আমরা অন্তরে রেখেছি, বাহিরে রেখেছি এবং সেই আদর্শ অনুসরণ কর্তে চেষ্টা কর্‌ছি, ভবিষ্যতেও করব।”

 শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের এক সভায় বক্তৃতাপ্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র বলেন, “আমরা যে নূতন ভারত তৈরী করব তার প্রতিষ্ঠা হবে মানবজাতির শ্রেষ্ঠতম আদর্শের উপর। তাকে ভিত্তি করে স্বরাজের সৌধ নির্ম্মিত হ’বে। তার মধ্যে জাতির প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন ফুটিয়ে তুলতে পারব, ভারতবর্ষকে আবার ধনধান্যে পূর্ণ কর্তে পারব এবং ভারতের নর-নারীকে সকল রকমে যােগ্য করে তুলতে পারব। যেদিন ভারতের প্রত্যেক নর-নারীকে মনুষ্যত্বের উচ্চতর সােপানে উন্নীত কর্তে পারব, সেদিন আমাদের কর্মপ্রচেষ্টা সাফল্যমণ্ডিত হ’বে। শান্তিনিকেতনে ও শ্রীনিকেতনে শিক্ষার যে আয়ােজন হ’য়েছে তার যদি সদ্ব্যবহার হয়, তা’হলে জাতিসংঘঠনকার্য সাফল্যমণ্ডিত হবে।”

কুড়ি

 কলিকাতায় একটি কংগ্রেস-ভবন প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্প সুভাষচন্দ্রের মনে বহুদিন পূর্বেই স্থান পাইয়াছিল। সুভাষচন্দ্র যে জাতীয় সৈনিকবাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করিয়াছিলেন কংগ্রেস হাউস প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও তাহার সহিত যুক্ত ছিল। তাঁহার পরিকল্পিত কংগ্রেসভবনে শুধু কংগ্রেসের কাজই হইবে না, আসলে সেটা হইবে জাতীয় বাহিনীর প্রধান শিবির। সেখানে লাইব্রেরী, রঙ্গমঞ্চ, জিম্‌নাসিয়াম ও কংগ্রেস অফিস ত থাকিবেই কিন্তু মূলতঃ প্রতিষ্ঠানটি একটি সৈনিক কেন্দ্র হইবে। ১৯৩৮ সালের আগষ্ট মাসে কর্পোরেশনের সভায় কলিকাতায় এইরূপ