পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই প্রস্তাবিত আন্দোলনের অসম্পূর্ণ পরিকল্পনাকে একটি সম্পূর্ণ রূপ দিতে চেষ্টা করিয়াছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি প্রতিকূলাচরণ করিলে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তার হানি হইবে। ইহাদের সম্পর্কে কংগ্রেস কি নীতি অনুসরণ করিবে তাহা সুস্পষ্টরূপে ঘোষণা করা প্রয়োজন।

সাতাশ

 ফরওয়ার্ড ব্লক গঠনের দ্বারা বামপক্ষকে সংহত করিয়া সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সংগ্রামের এই আয়োজন দক্ষিণপক্ষের মনে স্বভাবতঃই আতঙ্কের সঞ্চার করিল। সুভাষচন্দ্রের সংগ্রামাত্মক পরিকল্পনাকে তাঁহারা যে বরদাস্ত করিবেন না, ইহা আদৌ বিস্ময়কর নহে। সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হইলে কংগ্রেস নায়কগণ আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছিলেন—The work of twenty years has been undone overnight (বিশ বৎসরের সাধনা রাতারাতি নষ্ট হইল)! তাঁহারা জানিতেন সুভাষচন্দ্র তাঁহার বিরাট ব্যক্তিত্ব ও বিপুল সংগঠন শক্তি প্রভাবে অচিরাৎ সকল কংগ্রেস কর্মী ও স্বাধীনতাকামী সমস্ত দেশবাসীকে আপন সুদক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনাধীনে একই আদর্শ ও কর্মপন্থায় উদ্বুদ্ধ করিয়া সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সংঘবদ্ধ করিতে সমর্থ হইবেন। কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতৃত্ব এতদূর আন্দোলনবিমুখ হইয়া উঠিয়াছিল যে পাছে এই সংগ্রামশীল শ্রেণী কোথাও সংগ্রাম আরম্ভ করিয়া দেয় এই ভয়ে মে মাসে বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস কমিটির সভায় দুইটি প্রস্তাব পাশ করাইয়া লয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়, প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অনুমতি ব্যতীত কেহ