সত্যের যজ্ঞে যে তপস্বী কংগ্রেসকে গড়ে তুলেছেন, তার বিশুদ্ধতা কি তারা রক্ষা করতে পারবেন শক্তিপূজার নরবলি সংগ্রহের কাপালিক যাঁদের আদর্শ। আমি সর্ব্বান্তঃকরণে শ্রদ্ধা করি জহরলালকে, যেখানে ধন বা অন্ধ ধর্ম্ম বা রাষ্ট্রপ্রভাব ব্যক্তিগত সঙ্কীর্ণ সীমায় শক্তির ঔদ্ধত্য পুঞ্জীভূত করে তােলে সেখানে তার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযান। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি কংগ্রেসের দুর্গদ্বারের দ্বারীদের মনে কোথাও কি এই ব্যক্তিগত শক্তিমদের সাংঘাতিক লক্ষণ দেখা দিতে আরম্ভ করেনি? এতদিন পরে অন্তত আমার মনে সন্দেহ প্রবেশ করেছে।
পরিশিষ্ট—(খ)
আজাদ হিন্দ ফৌজ ও গভর্ণমেণ্টের ইতিহাস
১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সিঙ্গাপুরের পতন হয়। বৃটিশ সৈন্যগণ পূর্বাহ্নেই পলায়ন করে এবং তাহাদের পলায়নের জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা পূর্বেই করা হইয়াছিল, কিন্তু ভারতীয় সৈন্যগণকে তাহাদের অনিশ্চিত ভাগ্যের উপর ফেলিয়া রাখা হয়। ইহার ফলে সিঙ্গাপুরের সমস্ত ভারতীয় সৈন্য বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পন করে। এই সকল সৈন্য ও প্রবাসী ভারতীয়গণের বৃটিশ বিরােধী মনােভাব জাপানীদের কাজে লাগাইবার উদ্দেশ্যে (১৭ই ফেব্রুয়ারী) জাপানী হেড কোয়ার্টার্সের মেজর ফুজিয়ারা কতিপয় ভারতীয়কে আমন্ত্রণ করিয়া পাঠান। তিনি বুঝাইতে চাহিয়াছিলেন যে, বৃটিশ শক্তি নিতান্ত দুর্বল এবং দিন দিন আরও দুর্বল হইয়া পড়িতেছে এবং পড়িবে। সুতরাং বৃটিশ শক্তিকে আঘাত হানিবার ইহাই সুবর্ণ সুযােগ। তিনি পরামর্শ দেন, ভারতীয়গণ যেন ভারতের স্বাধীনতার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জাপানের তরফ হইতে সম্ভাব্য সকলপ্রকার সাহায্য দেওয়া হইবে। মেজর