পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩২
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

তাহাদের সমুদয় শক্তির সমাবেশ করিবার সময় আসিয়াছে। ভাসা ভাসা ব্যবস্থার দ্বারা কিছুই হইবেনা; আমি সমুদয় শক্তিরই সমাবেশ চাই। ইহার কমে চলিবে না, কারণ আমাদের শত্রুরাও বলিতেছে যে, ইহা সামগ্রিক যুদ্ধ।

 আপনারা আপনাদের সম্মুখে ভারতীয় মুক্তিসেনা—আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর একটা অংশকে দেখিতেছেন।

 সেদিন টাউনহলে এই সৈনিকেরা অনুষ্ঠানিকভাবে কুচকাওয়াজ করিয়াছে। তারপর তাহারা এই সঙ্কল্প করে যে পুরাতন দিল্লীর লাল কেল্লার সামনে বিজয়োৎসবের কুচকাওয়াজ না করা পর্য্যন্ত তাহারা বিশ্রাম গ্রহণ করিবে না। ‘দিল্লী চলো’ ‘দিল্লী চলো’—এই ধ্বনি তাহারা গ্রহণ করিয়াছে। বন্ধুগণ! পূর্ব্ব এশিয়ার ত্রিশ লক্ষ ভারতীয়ের ধ্বনি হইবে—সামগ্রিক যুদ্ধের জন্য সামগ্রিক সমাবেশ।

 এই সামগ্রিক সমাবেশে আমি তিনলক্ষ সৈন্য ও তিন কোটী ডলার চাই। আমি মরণজয়ী বাহিনী গঠনের জন্য সাহসী ভারতীয় নারীদের একটা দল গঠন করিতে চাই। ১৮৫৭ সালে প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর ঝান্‌সীর রাণী যে প্রকার সংগ্রাম করিয়াছেন এই নারী বাহিনীও সৈই প্রকার সংগ্রাম করিবেন।

 বন্ধুগণ! আমরা বহুদিন ইউরোপে দ্বিতীয় রণাঙ্গনের কথা শুনিয়া আসিতেছি। কিন্তু দেশে আমাদের স্বদেশবাসীরা অত্যন্ত বিপদাপন্ন এবং তাহারা দ্বিতীয় রণাঙ্গণের দাবী করিতেছে। পূর্ব্বে ভারতে সামগ্রিক সমাবেশের ব্যবস্থা করুন, আমি দ্বিতীয় রণাঙ্গনের প্রতিশ্রুতি দিতেছি— ইহাই ভারতীয় সংগ্রামের প্রকৃত দ্বিতীয় রণাঙ্গন।