পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

ভারতীয় মজলিসের বাৎসরিক ভোজ হইয়া গেল। Mr. Horniman আমাদের অতিথি হইয়া আসিয়াছিলেন। এখানকার বিদেশীয় বন্ধুগণ কেহ কেহ আসিয়াছিলেন। মিসেস রায় গত রবিবারের মজলিসের সভায় Rights of the Indian Mother সম্বন্ধে বক্তৃতা দিলেন। বাস্তবিক কবে আবার ভারত-রমণীবৃন্দ সমাজের শিক্ষাদাত্রীরূপে আসন গ্রহণ করিবেন? না জাগিলে ভারত-ললনা, এ ভারত কভু জাগিবে না। যেদিন Mrs. Sarojinee Naidu এখানে বক্তৃতা দিয়াছিলেন, সেদিন আনন্দে বুক দশ হাত ফুলিয়া উঠিয়াছিল। সেদিন দেখিলাম ভারতরমণীর আজও এমন শিক্ষা, দীক্ষা, গুণ, চরিত্র আছে যে পাশ্চাত্য জগতের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আত্ম-পরিচয় দিতে পারেন।”

 লণ্ডনে মিসেস মিত্রের সঙ্গে আলাপ হয়। দেখিলাম মিঃ মিত্র (ডাঃ মৃগেন মিত্র) moderate in Politics (নরমপন্থী) কিন্তু মিসেস মিত্র Extremist (চরমপন্থী)। আনন্দে বুক ভরে গেল। মিসেস ধর ও Extremist। এসব দেখে মনে হয় যে, যে দেশে রমণীর আদর্শ এত উচ্চ, সে দেশের উন্নতি না হয়ে পারে না। এ দেশে যে সকল ভারত মহিলারা আসেন, আমার বিশ্বাস তাঁদের প্রাণে গভীর স্বদেশ-প্রেমের উদ্রেক হয়—কারণ মাতৃহৃদয় বড় গভীর ও কোমল।”

সাত

 সুভাষচন্দ্র যেদিন বোম্বাই পৌঁছেন, সেইদিনই অপরাহ্ণে ‘মণিভবনে’ গান্ধীজীর সহিত সাক্ষাৎ করেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল গান্ধীজীর নিকট হইতে তাঁহার পরিকল্পনা ও কর্ম্মপন্থা সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেন। একঘণ্টাকাল গান্ধীজীকে নানারূপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া তিনি যে উত্তর পাইলেন তাহা তাঁহার মনঃপূত হইল না। গান্ধীজীর সহিত সুভাষচন্দ্রের