পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এগার

 সুভাষচন্দ্রের মুক্তিতে সমগ্র দেশ আনন্দ-চঞ্চল হইয়া উঠে। মুক্তিলাভের পর রোগশয্যা হইতে সুভাষচন্দ্র দেশবাসীর নিকট বাণী প্রদান প্রসঙ্গে বলেন, “এখন আমি প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছি। যাহাতে আমি শীঘ্র কার্য্য আরম্ভ করিতে পারি তজ্জন্য এখন আমার প্রধান ও প্রথম কর্ত্তব্য হইবে পূর্ব্বস্বাস্থ্য লাভের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করা... ..আমি আশা করি, আমি দ্রুত নিরাময় হইয়া উঠি আমার দেশবাসী ইহাই কামনা করিবেন। কারণ তাহা হইলে আমি সকল অভীষ্টকার্য্যে পুনরায় মন-প্রাণ নিয়োগ করিতে পারিব।” তাঁহার মুক্তিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান হইতে যে সমস্ত আনন্দ-সূচক পত্র আসিতে থাকে তদুত্তরে সংবাদ পত্রের মারফৎ তিনি বলেন, “সম্মুখে কিছুকাল বিশ্রাম ও অবসরের যে সময় রহিয়াছে সে সময় আমি অহর্নিশি ভগবানের চরণে এই প্রার্থনাই করিব যে, দেশবাসী আমার প্রতি যে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভালবাসা অর্পণ করিয়াছেন, আমি যেন কিয়দংশেও তাহার যোগ্য হইতে পারি। এখন আমার প্রধান কাজ হইবে, আমাদের সম্মুখে যে সমস্যা রহিয়াছে, তাহার সমাধান কল্পে আমি যেন নিভৃতে প্রস্তুত হইতে পারি।”

 “চতুর্দ্দিকেই নবজাগরণের চিহ্ন দেখা যাইতেছে। পূজনীয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের আকস্মিক মহাপ্রয়াণের পর যে ঘনান্ধকার আমাদিগকে আবৃত করিয়াছিল, তাহা ক্রমশঃ অপসারিত হইতেছে—যাহা এখনও আছে, তাহার মধ্যেও নবপ্রভাতের নবীন সূর্য্যের তরুণ আভা দেখা যাইতেছে।”

 “সময় নিকট হইলে, কর্ম্মের আহ্বান আসিলে যেন আমরা সকলেই একাগ্রচিত্তে পুনরায় কার্য্য আরম্ভ করিতে পারি—আজ ইহাই আমার