পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
৬৭

বিভাগ, জাতিভেদ ও সামাজিক অবিচারের নিরাকরণ ও সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামী বর্জ্জনও বুঝায়।”

 ১লা ডিসেম্বর অমরাবতীতে সুভাষচন্দ্র মধ্যপ্রদেশ ও বেরার ছাত্রসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি তাঁহার অভিভাষণে বলেন, “আমরা যে নূতন সমাজ গড়িয়া তুলিতে চাই সেই সমাজের গোড়ার কথা হইবে—সকলের জন্য সমান অধিকার, সমান সুযোগ, ঐশ্বর্য্যের উপর সকলের সমান অধিকার, বৈষম্যমূলক সামাজিক বিধানের উচ্ছেদ, জাতিভেদ প্রথার বিলোপ এবং বৈদেশিক শাসন হইতে মুক্তি।”

 “আমি যে স্বপ্ন ভালবাসি সে হইতেছে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন; আপনার প্রভায় গৌরবান্বিত সমুজ্জ্বল ভারতের স্বপ্ন। আমি চাই—এই ভারত তাহার নিজ সংসারের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হউক, তাহার ভাগ্যনিয়ন্ত্রনের ভার তাহারই হস্তগত হউক। আমি চাই এদেশে একটা স্বাধীন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক। তাহার সৈন্য, তাহার নৌবল, তাহার বিমান পোত, তাহার সমস্তই স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র হউক। আমি চাই পৃথিবীর স্বাধীনদেশ সমূহে স্বাধীন ভারতের দূত প্রেরণ করা হউক। আমি দেখিতে চাই—প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে যাহা কিছু মহত্তর তাহারই গৌরবে গৌরবান্বিত হইয়া এই ভারত-মাতা, সমগ্র জগতের সমক্ষে ষড়ৈশ্বর্য্যশালিনীরূপে দণ্ডায়মান হউক। আমি চাই—এই ভারত দেশে দেশে পরিপূর্ণ সত্যের বাণী, সর্ব্বাঙ্গীন স্বাধীনতার বাণী প্রেরণ করুক।”