পাতা:বিবর্ত্ত বিলাস.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেইবিন্দু লাগিয়া আশা ঝুলি কান্দে করি। হাতে করোয় ছেড়াকান্থা সেই বিন্দু লাগি । মহৈশ্বৰ্য ত্যাগি গোসাঞী। হইল বৈরাগী। কোন ভক্ত কহে বিন্দু পান। আপন! শুনি মহাক্ষোভ হয় হৃদয়ে আপম ! স্ব স্ব বিন্দু পান। আপনার করি। সাধন সিদ্ধি নাহি হয় নিত্যে যাইতে না পারি। প্ৰকৃতিবিন্দু গ্ৰহণেতে কিছু নাহি হয়। যারু যেই স্বেচ্ছা তারে কেবা নিষেধয় ৷ অতএব আত্ম রক্ষা হেতু সে নিশ্চয়। অপ্রাকৃত করে বিন্দু কঁহা নাহি যায়। চৈতন্যের দাস অনুদাস সঙ্গে। বুঝিতে পারিবে বিন্দু নিত্য প্রেমের তরঙ্গে ৷ চৈতন্যের কৃপা হইলে হেন সঙ্গ পাই। সে বিন্দু না পায় ভক্ত দুৰ্বল সদাই৷ তথাহি মধ্যে। এই লীলামৃত বিনে, খায় যদি অন্যপানে, তবু ভক্তের দুর্বল জীবন। যার এক বিন্দু পানে, প্ৰফুল্লিত তনু মনে, হাসে গায় করয়ে নৃত্যন}} ইতি!! এক ঠাই না কহিয়ে অরসজ্ঞ ডরে। স্থানে স্থানে পর তত্ত্ব কহিয়ে বিচারে ৷ গুরু বস্তু ধন ভাই ছাড়ন না যায়। গুরু ছাড়ি ভজিলে, নরক’ - প্ৰাপ্তি হয় ৷ যম তারে দণ্ডকরি করয়ে বন্ধন। বার বারনািরক মধ্যে করবে। "পতন ; তথাহি পদং ! যেখানে বলে আইলা, ভাবে আসি ভুলে রহিলা, মায়ারূপ বিষ পান করি। দিনে দিনে আয়ু ক্ষয়, বৃথা জন্ম বয়ে যায়, না ভজিয়া শ্ৰীচৈতন্য হরি। গুরু দিল কৰ্ণে বীজ, না দিলে তাহাতে সিঁচু সাধু সিন্ধু হইতে লইয়া। ' সে বীজের কিবা হইল, প্রেম বৃক্ষ না জন্মিল, দেখ দেখি মনেতে ভাবিয়া ৷ স্ত্রী পুত্ৰ কন্যার তরে, মিছা ভািবয়ে অন্তরে, আপনার কি হবে না জানে। আপন ভালাই চাও, মুখে কৃষ্ণ গুণ গাও, শুরু বৈষ্ণব সম করি মনে ॥ নতুবা বিষম হয়, যমড়তে বান্ধি লয়, লইয়া যাইবে কবিবে প্ৰহারে। বেষ্টিত কণ্টকাদণ্ডে, তার মুতে দিবে মুণ্ডে, শেষে রক্ত পুজ কুণ্ডে ডারে ৷ এই ঘাত শাস্তি তথা, কহিল সমস্ত কথা, ইতো ত্ৰাস হবে যাব চিতে। তার অনুরাগ হবে, সাধু সঙ্গ করি লবে, তার মন ব্ৰজধাম যাইতে ৷ সাধু সঙ্গে লবে যাহা, এবে প্রচারিয়ে তাহা, বিচারিয়া করহ গ্ৰহণ। গুরু পূৰ্ব্বে মন্ত্র দিল, সেবা যাইয়া কোথা রহিল, তার রূপ হবে দরশন। এইত কহিল সার, ইহা বিনা নাহি আর, যত দেখা