পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের কৃষক [ “বঙ্গদেশের কৃষকে” এ দেশীয় কৃষকদিগের যে অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে, তাহ আৰ নাই। জমীদারের আর সেরূপ অত্যাচার নাই। নূতন আইনে তঁহাদের ক্ষমতাও কমিয়া গিয়াছে। কৃষকদিগের অবস্থারও অনেক উন্নতি হইয়াছে। অনেক স্থলে এখন দেখা যায়, প্ৰজাই অত্যাচারী, জমীদার দুর্বল। এই সকল কারণে আমি এতদিন এ প্ৰবন্ধ পুনমুদ্রিত করি নাই। এক্ষণে যে আমি ইহা পুনমূৰি করিতেছি, তাহার অনেকগুলি কারণ, আছে। (১) ইহাতে পাঁচিশ বৎসর পূর্বে দেশের যে অবস্থা ছিল, তাহা জানা যায়। ভবিষ্যৎ ইতিহাসবেত্তার ইহা কাৰ্য্যে লাগিতে পারে। (২) ইহার পর হইতে কৃষকদিগের অবস্থা সমাজে আন্দোলিত হইতে লাগিল। এক্ষণে যে উন্নতি সাধিত হইয়াছে, ইহাতে তাহাৰ প্ৰথম সূত্রপাত, সুতরাং পুনমুদ্রিত হইবার এ প্ৰবন্ধ একটু দাবি দাওয়া রাখে। (৩) ইহাতে কৃষকদিগের যে অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে, তাহা এখনও অনেক প্রদেশে অপরিবৰ্ত্তিতই আছে। যতগুলি উৎপাতের কথা SDSDS DDDD BB S BB BDBDB BBDBBD BDDBD DB BD SSS0S Sg KBDBD BBB KBBD DDDS DDS কিছু যশোলাভ করিয়াছিল, এবং (৫) আমি বঙ্গদর্শনে “সাম্য” নামে একটি প্ৰবন্ধ রচনা করিয়া পশ্চাৎ তাহা পুনমুদিত করিয়াছিলাম। “বঙ্গদেশের কৃষক” আর পুনমুদ্রিত করিব না, বিবেচনায় তা ঠার কিয়দংশ “সাম্য”-মধ্যে প্ৰক্ষিপ্ত করিয়াছিলাম। এক্ষণে সেই “সাম্য” শীর্ষক পুস্তকখানি বিলুপ্ত করিয়াছি। সুতরাং “বঙ্গদেশের কৃষক’ পুনমুদ্রিত করার আর একটা কারণ হইয়াছে। অর্থশাস্ত্রাঘটিত ইহাতে কয়েকটা কথা আছে, তাহা আমি এক্ষণে ভ্ৰান্তিশূন্য মনে করি না। কিন্তু অর্থশাস্ত্ৰ সম্বন্ধে কোন কথা ভ্রান্তি, আর কোন কথা ধ্রুব সত্য, ইহা নিশ্চিত করা দুঃসাধ্য। অতএব কোন প্ৰকার সংশোধনের চেষ্টা করিলাম না । ] প্ৰথম পরিচ্ছেদ দেশের শ্ৰীবুদ্ধি আজি কালি বড় গোল শুনা যায় যে, আমাদের দেশের বড় শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে। এত কাল আমাদিগের দেশ উৎসন্ন যাইতেছিল, এক্ষণে ইংরাজের শাসনকৌশলে আমরা সভ্য হইতেছি । আমাদের দেশের বড় মঙ্গল হইতেছে। কি মঙ্গল, দেখিতে পাইতেছ না ? ঐ দেখ, লৌহবত্মো লৌহতুরঙ্গ, কোটি উচ্চৈঃশ্রবাকে বলে অতিক্ৰম করিয়া এক মাসের পথ এক দিনে যাইতেছে। ঐ দেখি, ভাগীরথীর যে উত্তাল তরঙ্গমালায় দিগগজ ভাসিয়া গিয়াছিল, অগ্নিময়ী তরণি, ক্রীড়াশীল