পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৫০

S80 ffs প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ਲ সিদ্ধ। প্ৰজাবৃদ্ধি হইলেই জমীর খাজানা বাড়িবে। যে ভূমির আগে এক জন প্ৰাথী ছিল, প্ৰজাবুদ্ধি হইলে তাহার জন্য দুই জন প্রার্থী দাড়াইবে। যে বেশী খাজানা দিবে, জমীদার তাহাকেই জমী দিবেন। রামা কৈবৰ্ত্তের জমীটুকু ভাল, সে এক টাকা হারে খাজানা দেয়। হাসিম শেখ সেই জমী চায়—সে দেড় টাকা হার স্বীকার করিতেছে। জমীদার রামাকে উঠিতে বলিলেন। রামার হয় তা দখলের অধিকার নাই, সে অমনি উঠিল। নয় ত অধিকার আছে, কিন্তু কি করে ? কুমীরের সঙ্গে বিবাদ করিয়া জলে বাস করিবে কি প্রকারে ? অধিকার বিসর্জন দিয়া সেও উঠিল। জমীদার বিঘা পিছু আট আনা বেশী পাইলেন। এইরূপে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর কোন সময়ে না কোন সময়ে, কোন সুযোগে না কোন সুযোগে, দেশের অধিকাংশ ভূমির হার বৃদ্ধি হইয়াছে। আইন আদালতের আবশ্যক করে নাই-বাজারে যেরূপ গ্ৰাহকবৃদ্ধি হইলে ঝিঙ্গা পটলের দর বাড়ে, প্ৰজাবৃদ্ধিতে সেইরূপ জমীর হার বাড়িয়াছে। সেই বৃদ্ধি, জমীদারের উদরেই গিয়াছে। অনেকেই রাগ করিয়া এ সকল কথা অস্বীকার করিবেন। তঁহারা বলিবেন, আইন আছে, নিরিখ আছে, জমীদারের দয়া ধৰ্ম্ম আছে। আইন-সে একটা তামাসা মাত্রবড় মানুষেই খরচ করিয়া সে তামাসা দেখিয়া থাকে। নিরিখ পূর্ববর্ণিত প্ৰণালীতে বাড়িয়া গিয়াছে। আর জমীদারের দয়া ধৰ্ম্ম—যখন আর স্তু ফিরে না, তখন লোকের দয়া ধৰ্ম্মের আবির্ভাব হয়। * ত্রু ফিরাইয়া ফিরাইয়া, বঙ্গদেশের অধিকাংশ বৰ্দ্ধিত ধাৰ্য্য আয় ভূস্বামিগণ আপনাদিগের হস্তগত করিয়াছেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়ে জমীদারের যে হস্তবুদ ছিল, অনেক স্থানেই তাহার ত্ৰিগুণ চতুগুণ হইয়াছে। কোথাও iKDK DBBBDBD S SDk DD DDDDS BgBBD BBB DD DBDBD SS আমরা দেখাইলাম, এই ঈশ্বরপ্রেরিত কৃষিধনের বৃদ্ধির ভাগ, রাজা পাইয়া থাকেন, ভূস্বামী পাইয়া থাকেন, বণিক পায়েন, মহাজন পায়েন,—কৃষী কি পায় ? যে এই ফসল উৎপন্ন করে, সে কি পায় ? আমরা এমত বলি না যে, সে কিছুই পায় না। বিন্দু বিসর্গমাত্ৰ পাইয়া থাকে। যাহা পায়, তাহাতে তাহার কিছু অবস্থার পরিবর্তন হয় নাই। অদ্যাপি ভূমির উৎপন্ন তাহার দিন চলে না। অতএব যে সামান্য ভাগ কৃষকসম্প্রদায় পায়, তাহা না পাওয়ারই ? ---------------- عحصــــــــــــــــــــــــــــیـــــــ BDBDS DBDD BDBDD BDBS S BBD DDD SD BBBDD DBDDB S DBDBBD BDD 00S 6 WRfC2 |