পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ थबक्ष-क्षिऔग्र ভাগ ووډ ভূস্বামী; জমীদারেরা কস্মিন কালে কেহ নহেন—কেবল সরকারী তহশিলদায়। কর্ণওয়ালিস যথার্থ ভূস্বামীর নিকট হইতে ভূমি কাড়িয়া লইয়া তহশীলদারকে দিলেন। ইহা ভিন্ন প্ৰজাদিগের আর কোন লাভ হইল না। ইংরাজ-রাজ্যে বঙ্গদেশের কৃষকদিগের এই প্ৰথম কপাল ভাঙ্গিল। এই “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত” বঙ্গদেশের অধঃপাতের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মাত্র-কস্মিন কালে ফিরিবে না। ইংরাজদিগের এ কলঙ্ক চিরস্থায়ী ; কেন না, এ বন্দোবস্ত “চিরস্থায়ী।” কর্ণওয়ালিস প্ৰজাদিগের হাত পা বান্ধিয়া জমীদারের গ্রাসে ফেলিয়া দিলেনজমীদার কর্তৃক তাহাদিগের প্রতি কোন অত্যাচার না হয়, সেই জন্য কোন বিধি ও নিয়ম করিলেন না। কেবল বলিলেন যে, “প্ৰজা প্ৰভৃতির রক্ষার্থ ও মঙ্গলার্থ গবৰ্ণর জেনেরল যে সকল নিয়ম আবশ্যক বিবেচনা করিবেন, তাহ যখন উপযুক্ত সময় বিবেচনা করিবেন, তখনই বিধিবদ্ধ করিবেন। তজ্জন্য জমীদার প্রভৃতি খাজনা আদায় করার পক্ষে কোন আপত্তি করিতে পরিবেন না ।” * “বিধিবদ্ধ করিবেন” আশা দিলেন, কিন্তু করিলেন না। প্ৰজারা পুরুষানুক্রমে জমীদার কর্তৃক পীড়িত হইতে লাগিল, কিন্তু ইংরাজ কিছুই করিলেন না। প্ৰজাদিগের দ্বিতীয়বার অশুভগ্ৰহ। ১৮১৯ সালে কোর্ট অব ডিরেক্টরস লিখিলেন, “যদিও সেই বন্দোবস্তের পর এত বৎসর অতীত হইয়াছে, তথাপি আমরা তৎকালে প্ৰজাদিগের স্বত্ব নিরূপণ এবং সামঞ্জস্য করিবার যে অধিকার হাতে রাখিয়াছিলাম, তদনুযায়ী অদ্যাপি কিছুই করা হইল না।” এই আক্ষেপ করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন। ১৮৩২ সালে কাম্বেল নামক এক জন বিচক্ষণ রাজকৰ্ম্মচারী লিখিলেন, “এ অঙ্গীকার অদ্যাপি রাজকীয় ব্যবস্থামালার শিরোভাগে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, কিন্তু গবৰ্ণমেণ্ট ভ্ৰাম্য ভূস্বামী(প্ৰজা)দিগের অগ্ৰে জমীদারকে দাড় করাইয়া, তাহাদিগের সহিত সাক্ষাৎ সম্বন্ধ উচ্ছেদ করিয়াছেন। সুতরাং সে অঙ্গীকার মত কৰ্ম্ম করেন নাই ।” বরং তদ্বিপরীতই করিলেন। দুর্বলকে আরও দুর্বল করিলেন, বলবানকে আরও বলবান করিলেন। ১৮১২ শালের ৫ আইনের দ্বারা প্ৰজার যে কিছু স্বত্ব ছিল, তাহ লোপ করিলেন। এই বিধি হইল যে, জমীদার প্রজাকে যে কোন হারে পাট্টা দিতে পরিবেন। ইহার অর্থ এই হইল যে, জমীদার যে কোন প্ৰজার নিকট, যে কোন হারে খাজানা আদায় SS S S STSLSLSLSLSSSLSSSMSSSMSSSSSSS SSSSS SSS SLSSS SL 、* r try or - LLLSqSqS qqqSLSASMSqSqqS SMSMSSMSSSLSqSqSS qMSqSqSqSSqqSSSLSSSSSSqSS

  • ১৭৯৩ শালের ১ আইনের ৮ ধারা ।