পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० दिदिक्ष थबक्ष-ठिी vess থাকিলে যে অত্যাচারের শাসন হইত, দূরে থাকায় সে অত্যাচারের শাসন হয় না। ইহার আর একটি ফল। এই হইয়া উঠিয়াছে যে, অত্যাচারী গোমস্তারাই বিচারকের স্থলাভিষিক্ত হইয়াছে। যখন এক জন কৃষক অপরের উপর দৌরাত্ম্য করে, তখন তাহার নালিশ জমীদারের গোমস্তার কাছে হয়। যখন গোমস্ত নিজে অত্যাচার করে, তাহার নালিশ হয় না। যে ব্যক্তি স্বয়ং পরপীড়ক, এবং চারি পয়সার লোভে সকল প্ৰকার অত্যাচার করিতে প্ৰস্তুত, তাহার হাতে বিচারকাৰ্য্য থাকায় দেশের কি অনিষ্ট হইতেছে, তাহা বুদ্ধিমানে বুঝিবেন। O DBBDS DDDS BBDS BDDDDBB BBDBYBD BBB BBDBD DDD S DDS বিলম্বে যে প্ৰতীকার, সে প্ৰতীকারকে প্ৰতীকার বলিয়া বোধ হয় না। গোমস্তায় কৃষকের ধান উঠাইয়া লইয়া গিয়াছে, কৃষক আদালতে ক্ষতিপূরণের জন্য নালিশ করিল। যদি বড় কপাল-জোরে সে ডিক্ৰী পাইল, তবে সে এক বৎসরে। আপীলে আর এক বৎসর। যদি আত্যন্তিক সৌভাগ্যগুণে আপীলে ডিক্ৰী টিকিল, এবং ডিক্ৰীজারিতে টাকা আদায় হইল, তবে সে আর এক বৎসরে। বাব্দীর কুড়ি টাকার ধান ক্ষতি হইয়াছিল, ডিক্ৰীজারি করিয়া খরচ খরচা বাদে তিন বৎসর পরে পাচ টাকা আদায় হইল। এরূপ প্ৰতীকারের আশায় কোন কৃষক জমীদারের নামে নালিশ করিবে ? বিলম্বে বিচারকের দোষ নাই। আদালতের সংখ্যা অল্প-যেখানে তিন জন বিচারক হইলে ভাল হয়, সেখানে একজন বৈ নাই। সুতরাং মোকদম নিম্পন্ন করিতে বিলম্ব ঘটিয়া যায়। আর প্রচলিত আইন অত্যন্ত জটিল। বিচারপ্রণালীতে অত্যন্ত লিপিবাহুল্যের এবং অত্যন্ত কাৰ্য্যবাহুল্যের আবশ্যকতা । আজ এ মোকদ্দমার প্রতিপক্ষের উকীলের জেরার বাহুল্যে একটি মোকদ্দমার একটি সাক্ষী মাত্র বিদায় হইল ; সুতরাং আর পাচটি মোকদ্দমার কিছু হইল না, আর এক মাস বাদে তাহার দিন পড়িল । কাল নিষ্পন্নযোগ্য মােকদ্দমার একটি নিম্প্রয়ােজনীয় সাক্ষী অনুপস্থিত, তাহার উপর দস্তক করিতে হইল। সুতরাং মোকদ্দমা আর এক মাস পিছাইয়া গেল। এ সকল না করিলে বিচার আইনসঙ্গত হয় না। নিম্পত্তি আপীলে টিকে না। বিচারে বিলম্ব হয়, তাহাওঁ স্বীকার,-অবিচার হয়, তাহাও স্বীকার, তথাপি কলিকাতার তৈয়ারি আইন ঘুণাক্ষরে লঙ্ঘন করা যাইতে পারে না । ইংরাজি আইনের মৰ্ম্ম এই ৷ আমরা যে সভ্য হইতেছি, দিনদিন যে দেশের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে, ইহা তাহার একটি পরিচয়। আমাদিগের দেশে ভাল আইন ছিল না, বিলাত হইতে এখন ভাল আইন