পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃদেশের কৃষক २१७ “একেই ত দশশালা বন্দোবস্তের চতুর্দিকে গৰ্ত্ত খনন করা হইয়াছে, তাহাতে বঙ্গদর্শনের মত দুই এক জন সন্ত্রান্ত বিচক্ষণ বাঙ্গালীর অনুমোদন বুঝিলে কি আর डा0छ יץ আমরা পরিষ্কার করিয়া বলিতে পারি যে, দশশালা বন্দোবস্তের ধ্বংস আমাদিগের কামনা নহে বা তাহার অনুমোদনও করি না। ১৭৯৩ শালে যে ভ্রম ঘটিয়াছিল, এক্ষণে তাহার সংশোধন সম্ভবে না। সেই ভ্রান্তির উপরে আধুনিক বঙ্গসমাজ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ধ্বংসে বঙ্গসমাজের ঘোরতর বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা। আমরা সামাজিক বিপ্লবের অনুমোদক নাহি। বিশেষ যে বন্দোবস্ত ঈংরাজের সত্য প্ৰতিজ্ঞা করিয়া চিরস্থায়ী করিয়াছেন, তাহার ধ্বংস করিয়া তাহারা এই ভারতমণ্ডলে মিথ্যাবাদী বলিয়া পরিচিত হয়েন, প্রজাবর্গের চিরকালের অবিশ্বাসভাজন হয়েন, এমত কুপরামর্শ আমরা ইংরাজদিগকে দিই না। যে দিন ইংরাজের অমঙ্গলাকাজক্ষী হইব, সমাজের অমঙ্গলাকাঙ্ক্ষী হইব, সেই দিন সে পরামর্শ দিব। এবং ইংরাজেরাও এমন নির্বোধি নহেন যে, এমত গৰ্হিত এবং অনিষ্টজনক কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হয়েন। আমরা কেবল ইহাই চাহি যে, সেই বন্দোবস্তের ফলে যে সকল অনিষ্ট ঘটিতেছে, এখন সুনিয়ম করিলে তাহার যত দূর প্রতীকার হইতে পারে, তাহাই হউক। কথিত লেখক লিখিয়াছেন যে, “যাহাতে 키l বন্দোবস্তের কোনরূপ ব্যাঘাত না হইয়া জমীদার ও প্ৰজা, উভয়েরই অনুকূলে এরূপ সুব্যবস্থা সকল স্থাপিত হয় যে, তদ্বারা উভয়েরই উন্নতি হইয়া দেশের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতে পারে, তদ্বিষয়ে পরামর্শ দেওয়াই কৰ্ত্তব্য।” আমরা তাঁহাই চাই । ইহাও বক্তব্য যে, আমরা কর্ণওয়ালিসের বন্দোবস্তকে ভ্ৰমাত্মক, অন্যায়, এবং অনিষ্টকারক বলিয়াছি বটে, কিন্তু ইংরাজেরা যে, ভূমিতে স্বত্ব ত্যাগ করিয়া এ দেশীয় লোকদিগকে তাহাতে স্বত্ববান করিয়াছেন, এবং করবৃদ্ধির অধিকার ত্যাগ করিয়াছেন, ইহা করিয়াছেন। এবং ইহা সুবিবেচনার কাজ, |- দৃশ্য বিবেচনা করি না। তাহা ভালই ? সঙ্গত, এবং সমাজের মঙ্গলজনক। আমরা বলি যে, এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত अभ८द्रं সহিত না হইয়া প্ৰজার সঙ্গে হওয়াই উচিত ছিল । তাই হইলেই নির্দোষ হইত। তাত। না হওয়াতেই ভ্ৰমাত্মক, অন্যায় এবং অনিষ্টজনক হইয়াছে । লেখক আরও বলেন - “আমরা দেখিতেছি, বাঙ্গালা দেশ নিতান্ত নির্ধন হইয়া পড়িম্বাই ! * * বলে, আমাদের দেশের টাকা আমাদের দেশে থাকিতেছে না, বিদেশীয় বণিক ও Ved