পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ঠদেশের কৃষক RAÐ দেখিবেন, বিদেশ হইতে কত অর্থ আসিয়া এ দেশে ব্যয় হইতেছে। যে বিপুল রেলওয়েগুলি প্ৰস্তুত হইয়াছে, সে অর্থ কাহার ? বিদেশীয় বণিকদিগের সম্বন্ধে শেষে যাহা বলিয়াছি, রাজপুরুষদিগের সম্বন্ধেও তাহা কিছু কিছু বৰ্ত্তে। কিন্তু ইহা অবশ্য স্বীকাৰ্য্য যে, রাজকৰ্ম্মচারীদিগের জন্য এ দেশের কিছু ধন বিলাতে যায়, এবং তাহার বিনিময়ে আমরা কোন প্রকার ধন পাই না। কিন্তু সে সামান্য মাত্র । * বাণিজ্য জন্য এ দেশে যে ধন বৃদ্ধি হইতেছে, এবং প্রথম পরিচ্ছেদের পরিচয় মত কৃষি জন্য যে ধন বৃদ্ধি হইতেছে, তাহাতে সে ক্ষতি পূরণ হইয়া আরও অনেক ফাজিল থাকিতেছে। অতএব আমাদের ধন বৎসর বৎসর বাড়িতেছে, কমিতেছে না। ৩। লেখক বলিতেছেন, “যদি মহাত্মা কর্ণওয়ালিস জমীদারদিগের বর্তমান শ্ৰীর উপায় না করিয়া যাইতেন, তবে দেশ এত দিন আরও দরিদ্র হইয়া পড়িত। দেশে যাহা কিছু অর্থ সম্পত্তি আছে, তাহা এই কয়েকজন জমীদারের ঘরেই দেখিতে পাওয়া যায় ।” এ কথাও সকলে বলেন, এ ভ্রমও সাধারণের। আমাদিগের জিজ্ঞাস্য এই যে, জমীদারী বন্দোবস্তে যদি দেশে ধন আছে—তবে প্ৰজাওয়ারি বন্দোবস্তে ধন থাকিত না কেন ? যে ধন এখন জমীদারদিগের হাতে আছে, সে ধন তখন দেশে থাকিত না ত কোথায় যাইত ? জমীদারের ঘরে ধন আছে, তাহার একমাত্র কারণ যে, তাহারা ভূমির উৎপন্ন ভোগ করেন। প্ৰজাওয়ারি বন্দোবস্ত হইলে, প্ৰজারা সেই উৎপন্ন ভোগ করিত, সুতরাং সেই ধনটা তাহাদের হাতে থাকিত। সে বিষয়ে দেশের কোন ক্ষতি হইত না। কেবল দুই চারি ঘরে তাহা রাশীকৃত না হইয়া লক্ষ লক্ষ প্রজার ঘরে ছড়াইয়া পড়িত। সেইটিই এই ভ্ৰান্ত বিবেচকদিগের আশঙ্কার বিষয়। ধন দুই এক জায়গায় কঁাড়ি বঁাধিলে তঁাহারা ধন আছে বিবেচনা করেন ; কঁাড়ি না দেগ্নিতে পাইলে তাহারা ধন আছে বিবেচনা করেন না। লক্ষ লক্ষ টাকা এক জায়গায় গাদা করিলে অনেক দেখায় ; কিন্তু আধ ক্রোশ অন্তর একটি একটি ছাড়াইলে টাকা দেখিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু উভয় অবস্থাতেই লক্ষ টাকার অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হইবে। এখন বিবেচনা করা। কৰ্ত্তব্য, ধনের কোন অবস্থা দেশের SS DBS BD BDB BBD DDBD DBDBDS D BDB BB DD DDBS পূৰ্বপণ্ডিতেরা বলিয়াছেন যে, ধন গোময়ের মত, এক স্থানে অধিক জমা হইলে দুৰ্গন্ধ এবং অনিষ্টকারক AAS S LLLeTSTAMqMS qA SMLL LLLLL SS LLSS ---------ri

  • এই কথাটাই বড় বেশী ভুল। এ সকল বিচারে স্কুল আছে, গোড়ায় স্বীকার করিয়াছি।