পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৬৫

दांत्रांठौद्ध উৎপত্তি V6 এইখানে বলা উচিত যে, পাশ্চাত্যদিগের সাধারণ মত এই যে, প্রাচীন চতুৰ্ব্বর্ণের মধ্যে শূদ্রদিগের উৎপত্তি এইরূপই ঘটিয়াছিল। জাতিভেদ সম্বন্ধে অনেকে অনেক মত প্রচার করিয়াছেন। আমাদিগের মতে জাতিভেদ তিন প্রকারে উৎপন্ন হইয়াছে। প্রথম, YYYYKDS BDB DBBBDSBDBSBuBLSDDDDD SS T DBBBDDD gBB BDDBD এখন আমরা ইউরোপে দেখিতে পাই যে, কোন কোন কুলীনবংশ পুরুষানুক্রমে রাজকাৰ্য্যে লিপ্ত। কোন সম্প্রদায় পুরুষানুক্রমে বাণিজ্য করিতেছে। কোন সম্প্রদায় পুরুষানুক্রমে কৃষিকাৰ্য্য বা মজুরী করিতেছে। কিন্তু ইউরোপে এক সম্প্রদায়ের লোক অন্য সম্প্রদায়ের ব্যবসায় গ্ৰহণ করার পক্ষে কোন বিস্ত্ৰ নাই। এবং সচরাচর এরূপ ব্যবসায়ান্তর গ্ৰহণ করিয়া থাকে। কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন আৰ্য্যেরা বিবেচনা করিতেন যে, যাহার পিতৃপিতামহ যে ব্যবসায় করিয়াছে, সে সেই ব্যবসাতেই সুদক্ষ হয়। তাহাতে সুবিধা আছে বলিয়া লোকে প্রথমতঃ ইচ্ছা করিয়া পৈতৃপিতামহিক ব্যবসায় অবলম্বন করিত। শেষ উচ্চব্যবসায়ীদিগের নিকট নীচব্যবসায়ীরা ঘূণ্য হওয়াতেই হউক অথবা ব্ৰাহ্মণদিগের প্রণীত দৃঢ়বদ্ধ সমাজনীতির বলেই হউক, বিদ্যাব্যবসায়ী যুদ্ধব্যবসায়ীর সঙ্গে মিশিল না। যুদ্ধব্যবসায়ী বণিকের সঙ্গে মিশিল না। এইরূপে তিনটি আৰ্য্যবর্ণের সৃষ্টি । জাতিভেদ উৎপত্তির দ্বিতীয় রূপ শূদ্রদিগের বিবরণে দেখা যায়। তাহা উপরে বুঝাইয়াছি। শ্রেষ্ঠ ব্যবসায় সকল আৰ্য্যেরা আপনার হাতে রাখিল, নীচব্যবসায় শূদ্রের উপর পড়িল। বোধ হয়, প্রথম কেবল আৰ্য্যে ও শূদ্রে ভেদ জন্মে ; কেন না, এ ভেদ वाडादिक । भूक्ष्यद्रा (गभभ নূতন নূতন আৰ্যসমাজভুক্ত হইতে লাগিল, তেমনি পৃথক বর্ণ বলিয়া, আৰ্য্য হইতে তফাত রহিল। বৰ্ণ শব্দই ইহার প্রমাণ। বর্ণ অর্থে রঙ । পূর্বেই দেখাইয়া আসিয়াছি যে, আৰ্য্যেরা গৌর, অনাৰ্য্যেরা “কৃষ্ণত্বচ”। তবে গৌর কৃষ্ণ দুইটি বর্ণ পাওয়া গেল। সেষ্ট প্রভেদে প্রথম আৰ্য্য ও শূদ্ৰ, এই দুইটি বর্ণ ভিন্ন হইল। একবার সমাজের মধ্যে থাক আরম্ভ হইলে, আৰ্য্যদিগের হস্তে ক্ৰমেই থাক বাড়িতে থাকিলে। তখন আৰ্য্যদিগের भ८४] दादमाग्रgङgा उबाश्री°, ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য, তিনটি শ্রেণী পৃথক হইয়া পড়িল, সেই ভেদ বুঝাইবার জন্য পূর্বপরিচিত “বৰ্ণ” নামই গৃহীত হইল। তার পর ट्, ठ्, ठांपै| স্বনাৰ্য্যে বৈধ বা অবৈধ সংসর্গে সঙ্করজাতিসকল উৎপন্ন হইতে লাগিল। সঙ্করে সঙ্করে মিলিয়া আরও জাতিভেদ বাড়িল। জাতিভেদের তৃতীয় উৎপত্তি এইরূপ । এক্ষণে আমরা বাঙ্গালী শূদ্রদিগের মধ্যে অনাৰ্য্যত্বের অনুসন্ধান করিব।