পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর উৎপত্তি Òey) শব্দের অপভ্রংশ এক প্রকার হয় না। প্রাচীন ভাষার কোন শব্দ ভাষান্তরে অপভ্রষ্ট হইয়া প্ৰবেশ করিলে দুই তিন রূপ ধারণ করে। এক সংস্কৃত ‘স্থান' শব্দ বাঙ্গালা ভাষায় কোথাও থান, কোথাও ঠাই। “চন্দ্ৰ' শব্দ কখন চন্দর, কখন চাঁদ। যেমন চন্দ্র শব্দ বাঙ্গালীর উচ্চারণে চন্দর হয়, ভদ্র শব্দ ভাদর হয়, তন্ত্র শব্দ তন্তর হয়, তেমনি পুণ্ড শব্দ স্থানবিশেষে পুণ্ডর হইবে। জাতিবাচক অর্থে কখন কখন বাঙ্গালীরা শব্দের পরে একটা ঈকার বেশীর ভাগ যোগ করিয়া দিয়া থাকে ; যেমুন সাঁওতাল সাঁওতালী, গয়াল গয়ালী, দেশওয়াল হইতে দেশওয়ালী। এইরূপ ঈকার যোগে পুণ্ড, শব্দ পুণ্ডর হইয়া পুণ্ডরীতে পরিণত হয়। পুণ্ডরী বলিয়া একটি বহুসংখ্যক বাঙ্গালী জাতি আছে, পুণ্ডেরা এবং পুড়োরা যদি অনাৰ্য্য, তবে পুণ্ডরীরাও অনাৰ্য্যজাতি। পোদ শব্দ পুণ্ড শব্দ হইতে নিষ্পন্ন হইতে পারে । এবং পুণ্ড শব্দ হইতেই পোদ নাম জন্মিয়াছে, ইহা আমার বিশ্বাস হয়। যে সকল কথা বলা গেল, তাহাতে বোধ হয় প্রতীতি জন্মিয়া থাকিবে যে, পুড়ো, পুণ্ডরী এবং পোদ, তিনটি আদৌ এক জাতি এবং তিনটি আদি প্রাচীন পুণ্ড জাতির সন্তান। পুণ্ডেরা অনাৰ্য্যজাতি ছিল, অতএব বাঙ্গালী সমাজের ভিতর আর তিনটি অনাৰ্য্য জাতি পাওয়া যাইতেছে।... ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ৫ আৰ্য শূদ্ৰ পূর্বপরিচ্ছেদে আমরা যে কয়টি উদাহরণ দিয়াছি, তাহাতে বোধ হয় ইহা স্থির হইয়াছে যে, বাঙ্গালীর মধ্যে অনেকগুলি জাতি অনাৰ্য্যবংশ। আমরা যে कग्र िछैन।[छ११ দিয়াছি, সকল কয়টি এক্ষণে বাঙ্গালী শূদ্র বলিয়া গণিত। অতএব ইহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে যে, বাঙ্গালী শূদ্রে সকল না। হউক, কেহ কেহ অনাৰ্য্যবংশ। কেহ কেহ। বালিতে পারেন যে, আমরা পূৰ্ব্বপরিচ্ছেদে যে সকল প্রমাণ দিয়াছি, তাহা সবগুলি ছিদ্রশূন্য নহে। তাহা আমরা কতক স্বীকার করি, কিন্তু এক প্ৰমাণ অচ্ছিদ্র, অখণ্ডনীয় * *াছে । যেখানে বর্ণ ও আকৃতি আৰ্য্যজাতীয় নহে, সেখানে যে অনাৰ্য্যশোণিত বৰ্ত্তমান,

  • বন্ধদুর্শিন, ১২৮৮ 2खाझे ।

8や