পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ांछत्रव्या ९ वांकJल ዕፃ¢ হয় না। প্ৰজাগণ দেখিতে পায় যে, এই এক লক্ষ সৈনিক পুরুষ রাজার আজ্ঞাধীন ; রাজাজার বিরোধ তাহদের কেবল ধ্বংসের কারণ হইবে। অতএব প্ৰজা বাহুবল প্রয়োগ সম্ভাবনা দেখিয়া, রাজাজ্ঞাবিরোধী হয় না। বাহুবলও প্রযুক্ত হয় না। অথচ বাহুবল প্ৰয়োগের যে উদ্দেশ্য, তাহা সিদ্ধ হয়, এ দিকে এই এক লক্ষ সৈন্য যে রাজার আজ্ঞাধীন, তাহারও কারণ প্ৰজার অর্থ অথবা অনুগ্রহ। প্ৰজার অর্থ যে রাজার কোষগত বা প্ৰজার অনুগ্রহ যে র্তাহার হস্তগত, সেটুকু সামাজিক নিয়মের ফল। অতএব এ স্থলে বাহুবল যে প্রযুক্ত হইল না, তাহার মুখ্য কারণ মানুষ্যের দূরদৃষ্টি, গৌণ কারণ সমাজবন্ধন। আমরা এ প্ৰবন্ধে গৌণ কারণটি ছাড়িয়া দিলেও “দিতে পারি। সামাজিক অত্যাচার যে যে বলে নিরাকৃত হয়, তাহার আলোচনায় আমরা প্ৰবৃত্ত। সমাজনিবন্ধ না হইলে সামাজিক অত্যাচারের অস্তিত্ব নাই। সমাজবন্ধন সকল সামাজিক অবস্থার নিত্য কারণ। যাহা নিত্য কারণ, বিকৃতির কারণানুসন্ধানে তাহা ছাড়িয়া দেওয়া যাইতে পারে । ইহা বুঝিতে পারা গিয়াছে যে, এইরূপ করিলে আমাদিগের শাসনের জন্য বাহুবল প্রযুক্ত হইবে-এই বিশ্বাসই বাহুবল প্রয়ােগ নিবারণের মূল। কিন্তু মনুন্যের দূরদৃষ্টি সকল সময়ে সমান নহে-সকল সময়ে বাহুবল প্রয়োগের আশঙ্কা করে না। অনেক সময়েই র্যাহারা সমাজের মধ্যে তীক্ষ্মদৃষ্টি, তাহারাই বুঝিতে পারেন যে, এই এই অবস্থায় বাহুবল প্রয়োগের সম্ভাবনা। র্তাহারা অন্যকে সেই অবস্থা বুঝাইয়া দেন। লোকে তাহাতে বুঝে। বুঝে যে, যদি আমরা এই সময়ে কৰ্ত্তব্য সাধন না করি, তবে আমাদিগের উপর বাহুবলপ্রয়োগের সম্ভাবনা। বুঝে যে, বাহুবল প্রয়োগে কতকগুলি অশুভ ফলের সম্ভাবনা। সেই সকল অশুভ ফল আশঙ্কা করিয়া যাহারা বিপরীত পথগামী, তাহারা १रुgयJ °थ १भन की । অতএব যখন সমাজের এক ভাগ অপর ভাগকে পীড়িত করে, তখন সেই পীড়ন নিবারণের দুইটি উপায়। প্রথম, বাহুবল প্রয়োগ। যখন রাজা প্ৰজাকে উৎপীড়ন করিয়া সহজে নিরস্ত হয়েন না, তখন প্ৰজা বাহুবল প্রয়োগ করে। কখনও কখন রাজাকে यपि 6 বুঝাইতে পারে যে, এইরূপ উৎপীড়নে প্ৰজাগণ কর্তৃক বাহুবল প্রয়োগের अभिक, তবে রাজা অত্যাচার হইতে নিরস্ত হয়েনি । ইংলেণ্ডের প্রথম চালর্স যে প্ৰজাগণের বাইৰ অবগত আছেন। তাহার পুত্র দ্বিতীয় জেমস, বা লে শাসিত হইয়াছিলেন, তাহা সকলে হুবল প্ৰয়োগের উদ্যম দেখিয়াই