পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ტჩა दिविथ 4यक-विडैौध छांश দেশ পরিত্যাগ করিলেন। কিন্তু এরূপ বাহুবল প্ৰয়োগের প্রয়োজন সচরাচর ঘটে না। বাহুবলের আশঙ্কাই যথেষ্ট। অসীম প্রতাপশালী ভারতীয় ইংরেজগণ যদি বুঝেন যে, কোন কাৰ্য্যে অসন্তুষ্ট হইবে, তবে সে কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করেন না। ১৮৫৭৷৷৫৮ শালে দেখা গিয়াছে, ভারতীয় প্ৰজাগণ বাহুবলে ঠাহাদিগের সমকক্ষ নহে। তথাপি প্ৰজার সঙ্গে বাহুবলের পরীক্ষা সুখদায়ক নহে। অতএব তঁাহারা বাহুবল প্ৰয়োগের আশঙ্কা দেখিলে বাঞ্ছিত পথে গতি করেন না। " অতএব কেবল ভাবী ফল বুঝাইতে পারিলেই, বিনা প্রয়োগে বাহুবলের কাৰ্য্য সিদ্ধ হয়। এই প্ৰবৃত্তি বা নিবৃত্তিদায়িনী শক্তি আর একটি দ্বিতীয় বল। কথায় বুঝাইতে হয়। এই জন্য আমি ইহাকে বাক্যবল নাম দিয়াছি। এই বাক্যবল আতিশয় আদরণীয় পদার্থ। বাহুবল মনুষ্যসংহার প্রভৃতি বিবিধ অনিষ্ট সাধন করে, কিন্তু বাক্যবল বিনা রক্তপাতে, বিনা অস্ত্রাঘাতে, বাহুবলের কাৰ্য্য সিদ্ধ করে। অতএব এই বাক্যবল কি, এবং তাহার প্রয়োগ লক্ষণ ও বিধান কি প্ৰকার, তাহা বিশেষ প্রকারে সমালোচিত হওয়া কৰ্ত্তব্য। বিশেষতঃ এতদেশে। অস্মদেশে বাহুবল প্ৰয়োগের কোন সম্ভাবনা নাই-বৰ্ত্তমান অবস্থায় অকৰ্ত্তব্যও বটে। সামাজিক অত্যাচার নিবারণের বাক্যবল একমাত্র উপায়। অতএব বাক্যবলের বিশেষ প্রকারে উন্নতির (2Coool বস্তুতঃ বাহুবল অপেক্ষা বাক্যবল সর্বাংশে শ্রেষ্ঠ। এ পৰ্য্যন্ত বাহুবলে পৃথিবীর কেবল অবনতিই সাধন করিয়াছে-যাহ কিছু উন্নতি ঘটিয়াছে, তাহ বাক্যবলে । সভ্যতার যাহা কিছু উন্নতি ঘটিয়াছে, তাহ বাক্যবলে। সমাজনীতি, রাজনীতি, ধৰ্ম্মনীতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প, যাহারই উন্নতি ঘটিয়াছে, তাহা বাক্যবলে। যিনি বক্তা, যিনি কবি, যিনি লেখক-দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, নীতিবেত্তা, ধৰ্ম্মবেত্তা, ব্যবস্থাবেত্তা, সকলেই বাক্যবলেই বলী । ইহ কেহ মনে না করেন যে, কেবল বাহুবলের প্রয়োগ নিবারণই বাক্যবলের পরিণাম বা তদৰ্থেই বাক্যবল প্ৰযুক্ত হয়। মনুষ্য কতক দূর পশুচরিত্র পরিত্যাগ कब्रि উন্নতাবস্থায় দাড়াইয়াছে। অনেক সময়ে মনুষ্য ভয়ে ভীত না হইয়াও, সৎকৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্ৰবৃত্ত। যদি সমগ্ৰ সমাজের কখনঃ এক কালে কোন বিশেষ সদনুষ্ঠানে প্ৰবৃত্তি জন্মে, তবে সে সৎকাৰ্য্য অবশ্য অনুষ্ঠিত হয়। এই সৎপথে জনসাধারণের প্রবৃত্তি কখনও কখনওঁ • জ্ঞানীর উপদেশ ব্যতীত ঘটে না। সাধারণ মনুষ্যগণ অজ্ঞ, চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ