পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Na Co : WOSዓ দেখাইল যে, তাহার চারিটি ছেলে, পাঁচটি মেয়ে ; একটি ছেলে আর তিনটি মেয়ের বিবাহ দিতে বাকি আছে-পোদজেতের ছেলের বিয়েতেও কড়ি খরচা, মেয়ের বিয়েতেও বটে। —তবে কম। পোদ্দ বলিল যে, “মহাশয় গা! একটু পরিবার ছেড়া নেকুড়া জুটাইতে পারি না-আবার ঘি, ময়দা, ডাল, ছােলা!” আমি বুঝিলাম, কথাটা বড় অসঙ্গত হইয়াছে। বোধ হইল, যেন প্রাঙ্গণশায়ী রুগ্ন কুকুরটিও আমার উপর রাগ করিয়া তর্জন গর্জন করিবার উদ্যোগী-বােধ হইল, যেন সে বলিতেছে, “একমুঠা ফেলা ভাত পাই না, আবার উনি বুট পায়ে দিয়া টেকির উপর বসিয়া ঘি ময়দার বাহানা আরম্ভ করিলেন।” একটি রোমশুন্য গৃহমার্জার আমার দিকে পিছন ফিরিয়া, লেজ উচু করিয়া চলিয়া গেলসেই নীরস রামধনালয়ে ঘূত, দুগ্ধ, নবনীতের কথা শুনিয়া সে আমাকে উপহাস করিয়া গেল সন্দেহ নাই। আমি রামধনকে বলিলাম, “চারিটি ছেলে-তিনটি মেয়ে। আবার তার উপর দুইটি পুত্রবধু বাড়িয়াছে ?” রামধন হাত যোড় করিয়া বলিল, “আজ্ঞা হাঁ, আপনার আশীৰ্ব্বাদে দুইটি পুত্রবধু হইয়াছে।” আমি বলিলাম, “তাহদের সন্তান সন্ততিও হইয়াছে ?” রামধন বলিল, “আজ্ঞা একটির দুইটি মেয়ে, একটির একটি ছেলে।” আমি বলিলাম, “রামধন। শত্রুর মুখে ছাই দিয়া অনেকগুলি পরিবার বাড়িয়াছে। বহু পরিবার বলিয়া তোমার আগেই খাইবার কষ্ট ছিল, এখন আরও কষ্ট হইয়াছে বোধ হয়।” রামধন বলিল, “এখন বড় কষ্ট হইয়াছে।” আমি তখন রামধনকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “রামধন। কেন এত পরিবার বাড়াইলে ?” রামধন কিছু বিস্মিত হইল। বলিল, “সে কি মহাশয়। আমি কি পরিবার বাড়াইলাম ? বিধাতা বাড়াইয়াছেন।” उाभि सलिलाभ, ‘ब्रिद বিধাতাকে অনর্থক দােষ দিও না। ছেলের বিয়ে তুমি দিয়াছ-সুতরাং তুমিই দুইটি পুত্রবধু বাড়াইয়াছ। আর ছেলের বিয়ে দিয়েছ বলিয়াই छिनरैि नाठि नाठिनौ दाफुाछेग्नाछ ।” রামধন কাতর হইয়া বলিল, “মহাশয়, আমাকে আমন করিয়া খুড়িবেন না, যমদণ্ডে সে দিন আত্মার আর একটি নাতি নষ্ট হয়েছে।” আমি দুঃখপ্ৰকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “সেটি কিসে গেল রামধন ৷”