পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

અિિછે 80 ( এরূপ সমাজে দুই প্রকার মনুষ্য সংসারাচিত্রের অগ্রগামী হইয়া দাঁড়ান ; এক সময়বিজয়ী বীর, দ্বিতীয় রাজনীতিবিশারদ মন্ত্রী। এক মণ্টকে, দ্বিতীয় বিস্মার্ক ; এক গারিবলদি, দ্বিতীয় रुांबून ; মহাভারতেও এই দুই চিত্র প্রাধান্য লাভ করিয়াছে, এক অৰ্জ্জুন, দ্বিতীয় শ্ৰীকৃষ্ণ । এই মহাভারতীয় কৃষ্ণচরিত্রকাব্য সংসারে তুলনারহিত। যে ব্রজলীলা জয়দেব ও বিদ্যাপতির কাব্যের একমাত্র অবলম্বন, যাহা শ্ৰীমদ্ভাগবতেও অত্যন্ত পরিস্ফুট, ইহাতে তাহার সূচনাও নাই। ইহাতে শ্ৰীকৃষ্ণ অদ্বিতীয় রাজনীতিবিদ-সাম্রাজ্যের গঠন বিশ্লেষণে বিধাতৃতুল্য,কৃতকাৰ্য্য—সেই জন্য ঈশ্বরাবতার বলিয়া কল্পিত। শ্ৰীকৃষ্ণ ঐশিক শক্তিধর বলিয়া কল্পিত, কিন্তু মহাভারতে ইনি অস্ত্ৰধারী নহেন, সামান্য জড়শক্তি বাহুবল ইহার বল নহে ; উচ্চতর মানসিক বলই ইহার বল। যে অবধি ইনি মহাভারতে দেখা দিলেন, সেই অবধি এই মইেতিহাসের মূল গ্ৰন্থিরজ ইহার হাতে-প্রকাশ্যে কেবল পরামর্শদাতা-কৌশলে সৰ্ব্বকৰ্ত্তা। ইহার কেহ মৰ্ম্ম বুঝিতে পারে না, কেহ অন্ত পায় না, সে অনন্ত চক্রে কেহ প্ৰবেশ করিতে পারে না। ইহার যেমন দক্ষতা, তেমনই ধৈৰ্য্য। উভয়েই দেবতুল্য। পৃথিবীর বীরমণ্ডলী একত্রিত হইয়া যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত, যে ধনু ধরিতে জানে, সেই কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিল; কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণ পাণ্ডবদিগের পরমাত্মীয় হইয়াও কুরুক্ষেত্রে অস্ত্র ধরেন নাই। তিনি মানসিক শক্তি মূৰ্ত্তিমান, বাহুবলের আশ্ৰয় লইবেন না। তাহার অভীষ্ট, পৃথিবীর রাজকুল ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া, এক পাণ্ডব পৃথিবীশ্বর থাকেন ; স্বপক্ষ বিপক্ষ উভয়ের নিধন না হইলে তাহ ঘটে না ; যিনি ঈশ্বরাবতার বলিয়া কল্পিত, তিনি স্বয়ং রণে প্ৰবৃত্ত হইলে, যে পক্ষাবলম্বন করিবেন, সেই পক্ষের সম্পূর্ণ রক্ষা সম্ভাবনা। কিন্তু তাহা তঁহার উদ্দেশ্য নহে। কেবল পাণ্ডবদিগকে একেশ্বর করাও তাহার অভীষ্ট নহে। ভারতবর্ষের ঐক্য র্তাহার উদ্দেশ্য । DBDBDBDD DBB DBDSDED DBBDBDSDB DD BB BBDB DiD DK S DkED DSEED KBBDD আক্রমণ করিয়া পরস্পরকে ক্ষীণ করিত, ভারতবর্ষ অবিরত সমরানলে দগ্ধ হইতে থাকিত । শ্ৰীকৃষ্ণ বুঝিলেন যে, এই সসাগরা ভারত একচ্ছত্রাধীন না হইলে ভারতের শাস্তি নাই ; শাস্তি ভিন্ন লোকের রক্ষা নাই ; উন্নতি নাই। অতএব এই ক্ষুদ্র ২ পরস্পরবিদ্বেষী রাজগণকে প্ৰথমে ধ্বংস করা। কৰ্ত্তব্য ; তাহা হইলেই ভারতবর্ষ একায়িত্ত, শাস্ত, এবং উন্নত হইবে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তাহারা পরস্পরের অন্ত্রে পরস্পরে নিহত হয়, ইহাই তাহার উদ্দেশ্য হইল। ইহারই পৌরাণিক নাম পৃথিবীর ভারমোচন। শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং যুদ্ধ করিয়া, এক পক্ষের রক্ষা চেষ্টা করিয়া, কেন সে উদ্দেশ্যের বিয় করিবেন ? তিনি বিনা অস্ত্ৰধারণে, অর্জনের রথে বসিয়া, ভারতরাজকুলের ধ্বংস সিদ্ধ করিলেন । • এইরূপ মহাভারতীয় কৃষ্ণচরিত্র যতই আলোচনা করা যাইবে, ততই তাঁহাতে এই ক্রুর কৰ্ম্ম দুর্দশী রাজনীতিবিশারদের লক্ষণ সকল দেখা যাইবে। তাঁহাতে বিলাসপ্রিয়তার লেশ মাত্র नांदे-८१ांश्रदानकद्र श्रि भांडा नाशें । এদিকে দর্শনশাস্ত্রের প্রাদুর্ভাব হইতেছিল। বৈদিক ও পৌরাণিক দেবগণের আরাধনা कर्शि आव्र মাৰ্জিতবুদ্ধি আৰ্য্যগণ সন্তুষ্ট নহেন। তাহারা দেখিলেন যে, যে সকল ভিন্ন২ নৈসর্গিক ।