পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ७qत९ उ९काहल रुछैिद्र अदछ। ;- “প্রবল।বাতাবলিক্ষোভগম্ভীরগুণগুণায়মান মেঘমেদুরান্ধকারনীরন্ধ নিবন্ধম। একবার বিশ্বগ্রাসনবিকটবিকরালকালকণ্ঠমুখকন্দরবিবৰ্ত্তমানমিব যুগান্তযোগনিদ্রানিরুদ্ধসর্বদ্বারনারায়ণোদরনিবিষ্টমিব ভূতজাতিং প্ৰবেপতে ।” ঈদৃশ দীর্ঘ সমাস যে রচনা-দোষমধ্যে গণ্য, তাহা আমরা স্বীকার করি। যাহা কিছুতে অর্থ বোধের বিন্ন হয়, তাহাঁই দোষ। ঈদৃশ সমাসে অর্থ বোধের হানি, সুতরাং ইহা দোষ। নাটকে ইহা বিশেষ যে দোষ, তাহাও স্বীকার করি ; কেন না, ইহাতে নাটকের অভিনয়োপযোগিতার হানি হয়। তথাপি এই সমাসগুলি কবিত্বপরিপূর্ণ, ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে। লব ও চন্দ্ৰকেতু যুদ্ধ করিতেছিলেন, এমন সময়ে রাম সেই স্থানে উপনীত হইলেন। তিনি উভয়কে যুদ্ধ হইতে নিরস্ত করিলেন। লব তাহাকে রাজা রামচন্দ্ৰ বলিয়া জানিতে পারিয়া, ভক্তিভাবে প্ৰণাম ও নম্রভাবে তাহার সহিত আলাপ করিলেন।” কুশও যুদ্ধসম্বাদ শুনিয়া সে স্থানে উপস্থিত হইলেন, এবং লব কর্তৃক উপদিষ্ট হইয়া রামের সহিত সেইরূপ ব্যবহার করিলেন। রাম উভয়কে সস্নেহ আলিঙ্গন এবং পিতৃযোগ্য প্রণয়সম্ভাষণ করিতে লাগিলেন। পরে সকলে, বাল্মীকির আশ্রমে, তৎপ্ৰণীত নাটকাভিনয় দেখিতে গেলেন। তথায় রামানুজ্ঞাক্ৰমে লক্ষ্মণ দ্রষ্টবৰ্গকে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, পৌরগণ, জনপদবাসী প্রজা ও দেবাসুর এবং ইতর জীব, স্থাবর জঙ্গম সকলে ঋষিপ্রভাব বলে সমাগত হইয়া, লক্ষ্মণকর্তৃক যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইলেন। পরে অভিনয়ারম্ভ হইল। রাম ও লবকুশ দ্রষ্টবৰ্গমধ্যে ছিলেন। সীতা বিসর্জন বৃত্তান্তই এই অদ্ভুত নাটকের প্রথমাংশ। সীতা লক্ষ্মণকর্তৃক পরিত্যক্ত হইলে, তাহার কাতরতা, গঙ্গাপ্রবাহে দেহসমর্পণ, তন্মধ্যে যমলাসন্তান প্রসব, গঙ্গা এবং পৃথিবী কর্তৃক তঁাহার ও শিশুদিগের রক্ষা ও তৎসঙ্গে সীতার প্রস্থান ইত্যাদি অভিনীত হইল । দেখিয়া রাম মূচ্ছিত হইলেন। তখন লক্ষ্মণ উচ্চৈঃস্বরে বাল্মীকিকে লক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিলেন, “ভগবন! রক্ষা করুন। আপনার কাব্যের কি মৰ্ম্ম ?” ” নটদিগকে বলিলেন, “তোমরা অভিনয় বন্ধ কর।” তখন সহসা দেবর্ষি কর্তৃক অন্তরীক্ষ ব্যাপ্ত হইল! গঙ্গার বারিরাশি মথিত হইল। ভাগীরথী এবং পৃথিবীর সহিত জলমধ্য হইতে উঠিলেন-কে ? স্বয়ং সীতা । দেখিয়া লক্ষ্মণ বিস্মিত এবং আহ্বলাদিত হইয়া রামকে ডাষ্টিলেন, “দেখুন ! দেখুন!” কিন্তু রাম