বিবিধ প্ৰবন্ধ কেবল স্বভাবানুকারিণী সৃষ্টিরও বিশেষ প্ৰশংসা নাই। যেমন জগতে দেখিয়া থাকি, কবির রচনার মধ্যে তাঁহারই অবিকল প্ৰতিকৃতি দেখিলে কবির চিত্রনৈপুণ্যের প্ৰশংসা করিতে হয়, কিন্তু তাহাতে চিত্রনৈপুণ্যেরই প্ৰশংসা, সৃষ্টিচাতুৰ্য্যের প্রশংসা কি ? আর তাহাতে কি উপকার হইল ? যাহা বাহিরে দেখিতেছি, তাহাই গ্রন্থে দেখিলাম ; তাহাতে আমার লাভ হইল কি ? যথার্থ প্ৰতিকৃতি দেখিয়া আমোদ আছে বটে-কেবল স্বভাব-সঙ্গত গুণবিশিষ্ট সৃষ্টিতে সেই আমোদ মাত্র জন্মিয়া থাকে। কিন্তু আমোদ ভিন্ন, অন্য লাভ যে কাব্যে নাই, সে কাব্য সামান্য বলিয়া গণিতে इश्यू । অনেকে এই কথা বিস্ময়কর বলিয়া বোধ করিবেন। কি এ দেশে, কি সুসভ্য ইউরোপীয় জাতিমধ্যে, অনেক পাঠকেরই এইরূপ সংস্কার যে, ক্ষণিক চিত্তরঞ্জন ভিন্ন কাব্যের অন্য উদ্দেশ্য নাই। বস্তুতঃ অধিকাংশ কাব্যে ( বিশেষতঃ গদ্য কাব্যে বা আধুনিক 8 নবেলে) এই চিত্তরঞ্জন প্ৰবৃত্তিই লক্ষিত হয়—তাহাতে চিত্তরঞ্জন ভিন্ন গ্ৰন্থকারের অন্য উদ্দেশ্য থাকে না ; এবং তাহাতে চিত্তরঞ্জনোপযোগিতা ভিন্ন আর কিছু থাকেও না। কিন্তু সে সকলকে উৎকৃষ্ট কাব্য বলিয়া গণ যাইতে পারে না। যদি চিত্তরঞ্জনই কাব্যের উদ্দেশ্য হইল, তবে বেস্থামের তর্কে দোষ কি ? * কাব্যেও চিত্তরঞ্জন হয়, শতরঞ্চ খেলায়ও চিত্তরঞ্জন হয়। বরং অনেকেরই ঐবানহো অপেক্ষা একবাজি শতরঞ্চ খেলায় অধিক আমোদ হয়। তবে তঁহাদের পক্ষে কাব্য হইতে শতরঞ্চি উৎকৃষ্ট বস্তু ? এবং স্কটু কালিদাসাদি অপেক্ষ একজন পাকা খেলোয়াড় বড় লোক ! অনেকে বলিবেন যে, কাব্যপ্ৰদত্ত আনন্দ বিশুদ্ধ আনন্দ-সেই জন্য কাব্যের ও কবির প্ৰাধান্য । শতরাঞ্চের আমোদ অবিশুদ্ধ কিসে ? এরূপ তর্ক যদি অযথার্থ না হয়, তবে চিত্তরঞ্জন ভিন্ন কাব্যের মুখ্য উদ্দেশ্য আর কিছু অবশ্য আছেই আছে। সেটি কি ? ang- LSLSLSLSSqSLLLSqqSqqSqSASSqASqSqSLSS0LSSSqqqqS SASqSq S S অনেকে উত্তর দিবেন, “নীতিশিক্ষা।” যদি তাহা সত্য হয়, তবে “হিতোপদেশ” রঘুবংশ হইতে উৎকৃষ্ট কাব্য। কেন না, বোধ হয়, হিতোপদেশে রঘুবংশ হইতে নীতিবাহুল্য আছে। সেই হিসাবে কথামালা হইতে শকুন্তলা কাব্যাংশে অপকৃষ্ট । R কেহই এ সকল কথা স্বীকার করিবেন না। যদি তাহা না করিলেন, তবে • কাব্যের “ችጫk 'ት মুখ্য উদ্দেশ্য কি ? কি জন্য শতরঞ্চ খেলা ফেলিয়া শকুন্তলা পড়িব ?
- বেস্থােম বলেন, আমােদ সমান হইলে কাব্যের এবং পুস্পিন খেলার একই দর।
