পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१gनि S :S যে, ইহা ঈশ্বরপ্রণীত, সুতরাং সৃষ্ট এবং পৌরুষেয় । কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রের কি আশ্চৰ্য্য বৈচিত্ৰ্য ! সকলেই বেদ মানেন, কিন্তু বেদের উৎপত্তি সম্বন্ধে কোন দুইখানি শাস্ত্রীয় গ্রন্থের ঐক্য নাই । যথা ( ১ ) ঋগ্বেদের পুরুষসূক্তে আছে, বেদপুরুষ যজ্ঞ হইতে উৎপন্ন। ( 2 ) অথর্ববেদে আছে, স্তম্ভ হইতে ঋগ যজুষ সাম অপাক্ষিত হইয়াছিল । ( ৩ ) অথৰ্ব্ববেদে অন্যত্ৰ আছে যে, ইন্দ্ৰ হইতে বেদের জন্ম । ( 8 ) ঐ বেদের অন্যত্ৰ আছে, ঋগ্বেদ কাল হইতে উৎপন্ন । ( ৫ ) ঐ বেদে অন্যত্ৰ আছে, বেদ গায়ত্রীমধ্যে নিহিত । ( ৬ ) শতপথ ব্ৰাহ্মণে আছে যে, অগ্নি হইতে ঋচ, বায়ু হইতে যজুষ এবং সূৰ্য্য হইতে সামবেদের উৎপত্তি ; ছন্দোগ্য উপনিষদে ও ঐরাপ আছে । এবং মনুতেও তদ্রুপ ठाCछ । ( ৭ )। শতপথ ব্ৰাহ্মণের অন্যত্ৰ আছে, বেদ প্ৰজাপতি কৰ্ত্তক সৃষ্ট হইয়াছিল । ( ৮ ) শতপথ ব্ৰাহ্মণের সেই স্থানেই আছে যে, প্ৰজাপতি বেদসহিত জলমধ্যে প্ৰবেশ করেন । জল হইতে অণ্ডের উৎপত্তি হয় । অণ্ড হইতে প্ৰথমে তিন, বেদের উৎপত্তি । ( ৯ )। শতপথ ব্ৰাহ্মণের অন্যত্র আছে যে, বেদ মহাভূতের ( ব্ৰহ্মার ) নিশ্বাস । ( ১০ ) তৈত্তিরীয় ব্ৰাহ্মণে আছে, প্রজাপতি সোমকে সৃষ্টি করিয়া তিন বেদের সৃষ্টি করিয়াছেন। ( ১১ ) বৃহদারণ্যক উপনিষদে আছে, প্ৰজাপতি বাক সৃষ্টি করিয়া তন্দ্বারা বেদাদি সকল সৃষ্টি করিয়াছেন । ( ১২ )। শতপথ ব্ৰাহ্মণে পুনশ্চ আছে যে, মনঃসমুদ্র হইতে বাকিরাপ সাবলের দ্বারা দেবতারা বেদ খুড়িয়া উঠাইয়াছিলেন । ( ১৩) তৈত্তিরীয় ব্ৰাহ্মণে আছে যে, বেদ প্ৰজাপতির শ্মশ্ৰ । ( ১৪ ) উক্ত ব্ৰাহ্মণে পুনশ্চ আছে, বাগ দেবী বেদমাতা । ( ১৫ ) বিষ্ণুপুরাণে আছে, বেদ ব্ৰহ্মার মুখ হইতে উৎপন্ন। ভাগবত পুরাণে ও মার্কণ্ডেয় পুরাণেও ঐরূপ। (১৬) হরিবংশে আছে, গায়ত্রীসভৃত ব্ৰহ্মতেজোময় পুরুষের নেত্ৰ হইতে ঋচ, ও যজুষ, জিহবাগ্রি হইতে সাম, এবং মুদ্ধ হইতে অথর্বের সৃজন হইয়াছিল। ( ১৭ ) মহাভারতের ভীষ্মপর্বে আছে যে, সরস্বতী এবং বেদ, বিষ্ণু মন হইতে সৃজন করিয়াছিলেন। শান্তিপর্বে সরস্বতীকে বেদমাতা বলা হইয়াছে। YWb