পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরচরিত C যাহার পক্ষে “মনস্য জীবকুসুমস্য বিকাশনানি, সন্তৰ্পণান সকলোন্দ্ৰিয়মোহনানি । এতানি তে সুবচনানি সরোরুহাক্ষি, কৰ্ণামৃতানি মনসশৰ্চ রসায়নানি ॥* যাহার বাহু সীতার চিরকালের উপাধান,- “আবিবাহ সময়াদৃগৃহে বনে, শৈশবে তদনু যৌবনে পুন: | স্বাপহেতুরনুপাশ্ৰিতোহন্তয়া, लाभदाश्झ** -(भग ८७ ॥” যার পত্নী ——"গোহে লক্ষ্মীরিয়মমৃত বৰ্ত্তিীর্নয়নয়োরসাবস্যা: স্পর্শো বপুষি বহুলশ্চন্দনরসঃ। অয়ং কণ্ঠে বাহুঃ শিশিরমস্বণে মৌক্তি কসরঃ "গ্ন তাহার কি কষ্ট, কি সৰ্ব্বনাশ, কি জীবনসর্বস্বধ্বংসাধিক যন্ত্রণা ! তৃতীয়াঙ্কে সেই যন্ত্রণার উপযুক্ত চিত্র প্রণয়নের উদ্যোগেই প্রথমাঙ্কে কবি এই প্রণয় চিত্ৰিত করিয়াছেন। এই প্ৰণয় সৰ্ব্বপ্ৰফুল্লকর মধ্যাহ্নসূৰ্য্য-সেই বিরহযন্ত্রণা ইহার ভাবী করালাকাদম্বিনী,-যদি সে মেঘের কালিমা অনুভব করিবে, তবে আগে এই সূৰ্য্যের প্রখরতা দেখা। যদি সেই অনন্তবিস্তৃত অন্ধকারময় দুঃখসাগরের ভীষণ স্বরূপ অনুভব করিবে, তবে এই সুন্দর উপকূল,—প্রাসাদশ্রেণীসমুজ্জল, ফলপুষ্পপরিশোভিত বৃক্ষবাটিকা পরিমণ্ডিত এই সৰ্ব্বসুখময় উপকূল দেখা। এই উপকূলেশ্বরী সীতাকে রামচন্দ্ৰ নিদ্রিতাবস্থায় ঐ অতলস্পর্শ অন্ধকারসাগরে ডুবাইলেন। দিয়াছে, অথবা মদ ( মাদক দ্রব্য সেবন) জনিত মত্ততাবশতঃ এরূপ হইতেছে, ইহার কিছুক্ট স্থির করিতে পারিতেছি না।” নৃসিংহ বাবুর অনুবাদ, ৩০ পৃষ্ঠা ৷ এই প্ৰবন্ধ নৃসিংহ বাবুর অনুবাদের সমালোচনা উপলক্ষে লিখিত হষ্টিয়াছিল। অতএব সে অনুবাদ সর্বাঙ্গে সম্পূর্ণ না হইলেও তাহাই উদ্ধৃত হইবে ।

  • "কমলনয়নে ! তোমার এই বাক্যগুলি, শোকাদি সন্তপ্ত জীবনরূপ কুসুমের বিকাশক, ইন্দিয়গণের মোহন ও সন্তৰ্পণস্বরূপ, কর্ণের অমৃতস্বরূপ, এবং মনের গ্লানিপরিহারক (রসায়ন) ঔষধস্বরূপ।” ঐ ৩১ 呜11 “রামবাহু বিবাহেব সময় হইতে, কি গৃহ, কি বনে, সর্বত্রই শৈশব্যাবস্থায় এবং পরে যৌবনাবস্থাতেও তোমার উপাধানের ( মাথায় দিবার বালিসের ) কাৰ্য্য করিয়াছে।” ঐ-ঐ পৃষ্ঠা।
  1. “ইনিই আমার গৃহের লক্ষ্মীস্বরূপ, ইনিষ্ট আমার নয়নের অমৃতশিলাকাস্বরূপ, ইহারাষ্ট এই স্পর্শ গাত্রলগ্ন চন্দন স্বরূপ সুখপ্রদ, এবং ইহঁরই এই বাহু আমার কণ্ঠস্থ শীতল এবং কোমল भूख ३I ** ।'

-ો જૂઠ્ઠા ।