পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१J SQ& যজ্ঞিরে তস্মাৎ যজুস্তস্মাদজায়তা।” ইতি পুরুষসুক্তে বেদকৰ্ত্তাও নিদিষ্ট আছেন। আর মীমাংসকেরা বলেন যে, শব্দ নিত্য, এ জন্য বেদ নিত্য । কিন্তু শব্দ নিত্য নহে ; কেন না, শব্দসামান্যত্বাবশতঃ ঘটাবৎ অস্মাদাদির বাহেন্দ্ৰিয়গ্ৰাহ্যু। মীমাংসকেরা উত্তর করেন। যে, গকারাদির শব্দ শুনিতে পাইলেই আমাদিগের প্রত্যভিজ্ঞান জন্মে যে, ইহা গাকার, অতএব শবদ নিত্য । নৈয়ায়িক বলেন যে, সে প্ৰত্যভিজ্ঞা সামান্য বিষয়ত্ববশতঃ, যেমন ছিন্ন, তৎপরে পুনর্জাত কেশ, এবং দলিত কুন্দ । মীমাংসকেরা আরও বলিয়া থাকেন যে, বেদ অপৌরুষেয়, তাহার এক কারণ যে, পরমেশ্বর অশরীরী, তাহার তাম্বাদি বর্ণোচ্চারণ-স্থান নাই । নৈয়ায়িকেরা উত্তর করেন যে, পরমেশ্বর স্বভাবতঃ অশরীরী হইলেও ভক্তানুগ্ৰহাৰ্থ ভঁৰ্তাহার শরীর গ্ৰহণ অসম্ভব, নহে । মীমাংসকেরা এ সকল কথার উত্তর দিয়াছেন, কিন্তু তাহার বিবরণ লিখিতে গেলে প্ৰবন্ধ বড় দীর্ঘ এবং কটমটে হইয়া উঠে। ফলে বেদ মানিবে কেন ? এই তর্কের তিনটি মাত্র উত্তর প্রাচীন দর্শনশাস্ত্ৰ হইতে পাওয়া যায় প্রথম। বেদ নিত্য এবং অপৌরুষেয়, সুতরাং ইহা মান্য । কিন্তু বেদেই আছে যে, ইহা অপৌরুষেয় নহে। যথা “ঋচঃ সামানি যজ্ঞিরে” ইত্যাদি। দ্বিতীয় । বেদ ঈশ্বর প্রণীত, এই জন্য মান্য । প্রতিবাদীরা এলিবেন যে, বেদ যে ঈশ্বর প্রণীত, তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ নাই। বেদে আছে, বেদ ঈশ্বরসঙ্গুত, কিন্তু যেখানে র্তাহারা বেদ মানিতেছেন না, তখন তাহারা বেদের কোন কথা মানিবেন না લ বিষয়ে যে বাদানুবাদ হইতে পারে, তাহা সঙ্গজেই অনুমেয়, এবং • [হাঁ সবিস্তারে লিখিবার আবশ্যকতা নাই । র্যাহারা ঈশ্বর মানেন না, তাহারা বেদ ঈশ্বরপ্রণীত, বলিয়। যে স্বীকার করিবেন না, उठांश दव्ला दांछ व्ला । তৃতীয় । বেদেল নিজ শক্তির অভিব্যক্তির দ্বারাই বেদের প্রামাণ্য সিদ্ধ স্বইতেছে। সাংখ্যকার এই উত্তর দিয়াছেন । সায়নাচাৰ্য্য বেদার্থপ্রকাশে এবং শঙ্করাচাৰ্য্য ব্ৰহ্মসূত্রের ভাস্যে ঐ রূপ নির্দেশ করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে কেবল ইহাই বক্তব্য যে, যদি বেদের এরূপ শক্তি থাকে, তবে বেদ অবশ্য মান্য । কিন্তু সে শক্তি সমাছে কি না, এই এক স্বতন্ত্র বিচার আবশ্যক হইতেছে। অনেকে বলিবেন যে, আমরা এরূপ শক্তি দেখিতেছি। না । বেদের আগৌরব হিন্দুশাস্ত্ৰেও আছে। বেদ মানিতে হইবে কি না, তাহা সকলেই আপনাপন বিবেচনামত মীমাংসা করিবেন, কিন্তু আমরা পক্ষপাতশূন্য হইয়া যেখানে লিখিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছি, এবং যখন বেদের গৌরব নিৰ্বাচনাত্মক তত্ত্ব লিখিয়াছি, তখন হিন্দুশাস্ত্ৰে কোথায় কোথায় বেদের আগৌরব আছে, তাহাও আমাদিগকে নির্দেশ করিতে श् ।