পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थ* ५aाव६ गांड्रिड्J ŞაNსტმა করিয়া সাধারণ লোকের ধৰ্ম্মালোচনাতেই অধিক অনুরাগ সম্ভব। আমারও বিশ্বাস যে, জগতে তাহাই হইয়া থাকে ; কেবল এখনকার বিকৃতরুচি পাঠকদিগের সম্বন্ধে এ কথা খাটে না। র্তাহারা বিবেচনা করিয়া দেখিবেন যে, যেগুলি ধৰ্ম্ম বলিয়া হিন্দু খিষ্টিয়ানের দোষে তাঁহাদের নিকট পরিচিত হইয়াছে, সেগুলি ধৰ্ম্ম নহে-অধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মের মূৰ্ত্তি বড় মনোহর । ঈশ্বর প্রজাপীড়ক নহেন-প্ৰজাপালক । ধৰ্ম্ম আত্মপীড়ন নহে,--আপনার উন্নতিসাধন, আপনার আনন্দবৰ্দ্ধনই ধৰ্ম্ম। ঈশ্বরে ভক্তি, মনুষ্যে গ্ৰীতি, এবং হৃদয়ে শান্তি, ইহাই ধৰ্ম্ম । ভক্তি, শ্ৰীতি, শান্তি, এই তিনটি শব্দে যে বস্তু চিত্রিত হইল, তাহার মোহিনী মূৰ্ত্তির অপেক্ষা মনোহর জগতে আর কি আছে ? তাহা ত্যাগ করিয়া আর কোন বিষয়ের আলোচনা করিতে ইচ্ছা করে ? সিনি নাটক নবেল পড়িতে বড় ভালবাসেন, তিনি এক বার মনে বিচার করিয়া দেখিবেন, কিসের আকাঙ্ক্ষায় তিনি নাটক নবেল পড়েন ? যদি সেই সকলে যে বিস্ময়কর ঘটনা আছে, তাহাতেই তঁাহার চিত্তবিনোদন হয়, তবে তঁাহাকে জিজ্ঞাসা করি, বিশ্বেশ্বরের এই বিশ্বসৃষ্টির অপেক্ষা বিস্ময়কর ব্যাপার কোন সাহিত্যে কথিত হইয়াছে ? একটি তৃণে৷ বা একটি মাছির পাখায় যত আশ্চৰ্য্য কৌশল আছে, কোন উপন্যাস-লেখকের লেখায় তত কৌশল আছে ? আর ইহার অপেক্ষা র্যাহারা উচ্চাদরের পাঠক, র্যাহার কবির সৃষ্ট পদার্থের লোভে সাহিত্যে অনুরক্ত, তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি, ঈশ্বরের স্মৃষ্টির অপেক্ষা, কোন কবির সৃষ্টি সুন্দর ? বস্তুতঃ কবির সৃষ্টি, সেই ঈশ্বরের সৃষ্টির অনুকারী বলিয়াই সুন্দর ৷ নকল কখন আসলের সমান হইতে পারে না। ধৰ্ম্মের মোহিনী মূৰ্ত্তির কাছে সাহিত্যের প্রভাব বড় २it1 ठूछेशा शाश । পাঠক বলিবেন, “এ কথা সত্য তইতে পারে না ; কেন না, আমার নাটক নবেল পড়িতে ইচ্ছা হয়, পড়িয়াও আনন্দ পাই । কই, ধৰ্ম্ম প্ৰবন্ধ পড়িতে ত ইচ্ছা হয় না, পড়িয়াও কোন আনন্দ পাই না।” ইহার উত্তর বড় সহজ । তুমি সাহিত্য পাঠে অনুরক্ত এব” তাহাতে আনন্দ লাভ কর, তাহার কারণ এই যে, যে সকল বৃত্তির অনুশীলন করিলে সাহিত্যের মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করা যায়, তুমি চিরকাল সেই সকল বৃত্তিগুলির অনুশীলন করিয়াছ, কাজেই তাহাতে আনন্দ লাভ কর। যে সকল বৃত্তির অনুশীলনে ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করা যায়, তুমি সেগুলির অনুশীলন করা নাই, এ জন্য তাহার আলোচনায় তুমি আনন্দ লাভ করা না । কিন্তু এখন সেগুলির আলোচনা নিতান্ত প্রয়োজনীয় হইয়াছে। কেন না, তাহাতেই সুখ । সাহিত্যের আলোচনায় সুখ আছে বটে, কিন্তু যে সুখ তোমার উদ্দেশ্য এবং প্ৰাপ্য হওয়া উচিত, সাহিত্যের সুখ তাহার ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। সাহিত্যও ধৰ্ম্ম ছাড়া নহে। কেন না, সাহিত্য সত্যমূলক। যাহা সত্য, তাহ ধৰ্ম্ম । যদি এমন কুসাহিত্য RR