পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbr. বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ আমি । এ সব কি কথা ? যে শক্তিতে আমি ঘটি তুলিলাম বা ভাত খাই, তাহা আমি ত চক্ষে কখন দেখি না। কই, আমার সে শক্তি এই দুৰ্গাঠাকুরাণীর মত সাজিয়া গুজিয়া গহনা পরিয়া আমার কাছে আসিয়া বসুক দেখি ! আমার বৈষ্ণবী তাহা করিয়া থাকে, সুতরাং আমার বৈষ্ণধীকেই আমার শক্তি বলিতে পারি। বাবাজি। গণ্ডমুখেরা তাই ভাবে । তুমি শরীরী, তোমার শক্তি তোমার শরীরে আছে । তাহা ছাড়া তোমার শক্তি কোথাও থাকিতে পারে না । আমি । দেবতারা কি ? শরীরী ? তবে তাহাদিগের শক্তিও নিরাকার ? বাবাজি । শরীরী এবং অশরীরী, উভয়েরই শক্তি নিরাকার। কিন্তু একটা একটা করিয়া কথা বুঝ, । প্রথমে বুঝ যে, ইন্দ্ৰাদি দেবতা সকলেই অশরীরী। অামি । সে কি ? ইন্দ্ৰ যদি অশরীরী, তবে স্বর্গের সিংহাসনে বসিয়া অঞ্চসারাদিগের নৃত্যগীত দেখে কে ? বাবাজি । এ সকল রূপক । তাহার গৃঢ়াৰ্থ না হয়। আর একদিন বুঝাইব । এখন বুঝ, যাহা হইতে বৃষ্টি হয়, তাহাই ইন্দ্ৰ। মাতা দাহ করে, তাহাই অগ্নি । যাহা হইতে জীবের বা বস্তুর ধ্বংস হয়, তাহাই রুদ । আমি । বুলিলাম না । কেহ ব্যামোহে মরে, কেহ ডুবিয়া মরে, কেহ পুড়িয়া মরে, কেহ পড়িয়া মরে, কেহ কাটিয়া মরে । কোন জীব কাহাকে খাইয়া ফেলে, কেহ কাহাকে মারিয়া ফেলে। কোন বস্তু গলিয়া ধ্বংস হয়, কোন বস্তু শুকাইয়া ধ্বংস হয়, কোন বস্তু গুড়া হইয়া যায়, কেহ শুষিয়া যায়। ইহার মধ্যে কে রুদ্র ? বাবাজি । সকলের যে সমষ্টিভাব অর্থাৎ সব একত্ৰে ভাবিলে যাহা ভাবি, उाशे झन्छ । আমি । তবে রুদ্র একজন, না। অনেক ? বাংবাজি । এক । যেমন এই ঘটিতে যে জল আছে, আর এই জালায় যে জল আছে, আর গঙ্গায় যে জল আছে, সব একই জল, তেমন যেখানেই ধ্বংসকারীকে দেখিবে, সৰ্ব্বত্রই একই রুদ্র জানিবে। আমি । তিনি অশরীরী ? दादाकि । उ1 ऊ दलिब्लाभ । আমি । তবে মহাদেবমূৰ্ত্তি গড়িয়া তাহাকে উপাসনা করি কেন ? সে কি তঁর রূপ নয় ? বাবাজি । উপাসনার জন্য উপাস্যের স্বরূপ চিন্তা চাই, নাহিলে মনোনিবেশ হয় না । তুমি এই নিরাকার বিশ্বব্যাপী রুদ্রের স্বরূপ চিন্তা করিতে পাের ?