পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stoʻ8 ff円 巴哥一fā西gf外 ठांभि । citद्धि वJवजांe यांछि । বাবাজি । আর কিছু করেন ? আমি । টাকা ধারা দিয়া সুদ খান । বাবাজি । ভাল। এখন আমি যদি বাহিরে গিয়া রামকে বলি যে, আমি আজ একজন জমিদারের বাড়ী খাইয়াছি, শ্যামকে বলি যে, আমি একজন ব্যবসাদারের বাড়ী খাইয়াছি, আর গোপালকে বলি যে, আমি একজন মহাজনের বাড়ী খাইয়াছি, তাহা হইলে তিন জনের কথা বলা হইবে ? না একজনেরই কথা বলা হইবে ? আমি । একজনেরই কথা । তিনি একই । বাবাজি। ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, তিনই এক। একজনই সৃষ্টিকৰ্ত্তা, পালনকৰ্ত্তা এবং সংহারকার্তা। হিন্দুধৰ্ম্মে এক ঈশ্বর ভিন্ন তিন ঈশ্বর নাই । আমি । তবে তিন জনকে পৃথক পৃথক উপাসনা করে কেন ? বাবাজি । তুমি যদি এই বাবুকে বিশেষ করিয়া জানিতে চাও, তবে তঁার সকল কাজগুলি পৃথক পৃথক করিয়া বুঝিতে হইবে । তিনি জমিদার হইয়া কিরূপে জমিদারি করেন, তাহা বুঝিতে হইবে, তিনি ব্যবসাদার হইয়া কি প্ৰণালীতে ব্যবসা করেন, তাহা বুঝিতে হইবে, আর তিনি মহাজানিতে কি করেন, তাহাও বুঝিতে হইবে । তেমনি ঈশ্বরোপাসনায় তঁহার কৃত সৃষ্টি স্থিতি প্ৰলয় পৃথক পৃথক বুঝতে হইবে। এই জন্য ত্রিদেবের উপাসনা । এক জনেরই কাৰ্য্যানুসারে তিনটি পৃথক পৃথক নাম দেওয়া হইয়াছে। তিন জনের তিনটি নাম নহে। আমি। বুঝিলাম। কিন্তু গোল মিটিতেছে না । বৃষ্টি হইল, তাহাতে শস্য জন্মিল, খাইয়া সবাই বাঁচিলাম। বঁাচাইল কে-পালনকৰ্ত্তা বিষ্ণু-না বৃষ্টিকৰ্ত্তা ইন্দ্র ? বাবাজি । যাহা বলিয়াছি, তাহা যদি বুঝিয়া থাক, তবে অবশ্য বুঝিয়াছ যে, ইন্দ্ৰ, বায়, বরুণ প্রভৃতি নামে কোন স্বতন্ত্র দেবতা নাই। যিনি সৃষ্টি করেন, তিনিই যেমন পালন করেন ও ধ্বংস করেন, তিনিই আবার বৃষ্টি করেন, তিনিই দাহ করেন, তিনিই ঝড় বাতাস করেন, তিনিই আলো করেন, তিনিই অন্ধকার করেন। যিনি ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, তিনিই ইন্দ্ৰ, তিনিই অগ্নি, তিনিই সর্বদেবতা। তবে যেমন আমাদের বুঝিবার সৌকর্য্যাৰ্থ এক জলকে কোথাও নদী বলি, কোথাও সমুদ্র বলি, কোথাও বিল বলি, কোথাও পুকুর বলি, কোথাও ডোবা বলি, কোথাও গোস্পদ বলি, তেমনি উপাসনার জন্য তঁহাকে কখন ইন্দ্ৰ, কখন অগ্নি, কখন ব্ৰহ্মা, কখন বিষ্ণু ইত্যাদি নানা নাম हेि। আমি । তব্যে তঁহায় যথার্থ নাম কি ?