পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&so বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ ইহাও অনেকে অনুমিত করেন। তাম্রলিপ্তি ভারতবর্ষাঁয়ের সমুদ্রযাত্রার স্থান ছিল। ভারতবর্ষীয় আর কোন জাতি এরূপ ঔপনিবেশিকতা দেখান নাই । দ্বিতীয় । বাঙ্গালী রাজগণ অনেক সময়ে উত্তরভারতে বৃহৎ সাম্রাজ্যের অধীশ্বর ছিলেন। পালবংশীয় দেবপালদেব ভারতবর্ষের সম্রাট বলিয়া কীৰ্ত্তিত। লক্ষ্মণসেনের জয়স্তম্ভ বারাণসী, প্রিয়াগ ও শ্ৰীক্ষেত্রে সংস্থাপিত হইয়াছিল। অতএব তিনি অন্ততঃ ভারতবর্ষের তৃতীয়াংশের অধীশ্বর ছিলেন । বাঙ্গালীরা গঙ্গাবংশ পরিচয়ে বহুকাল পৰ্য্যন্ত উড়িষ্যার অধীশ্বর ছিলেন । যে জাতি মিথিলা, মগধ, কাশী, প্ৰয়াগ, উৎকলাদি জয় করিয়াছিল, যাহার জয়পতাকা হিমালয়মূলে, যমুনাতটে, উৎকলের সাগরোপকূলে, সিংহলে, যবদ্বীপে, এবং বালিদ্বীপে উড়িত, সে জাতি কখন ক্ষুদ্র জাতি ছিল না । তৃতীয় । সপ্তদশ পাঠান কর্তৃক বঙ্গজয় হইয়াছিল, এ কলঙ্ক মিথ্যা । সপ্তদশ পাঠান কর্তৃক কেবল নবদ্বীপের রাজপুরী বিজিত হইয়াছিল। তৎসঙ্গী সেনা 7কর্তৃক কেবল মধ্যবঙ্গ বিজিত হইয়াছিল। ইহার পরেও বহুদিন পৰ্যন্ত সেনবংশীয়েরা পূর্ব ও দক্ষিণ বাঙ্গালার অধিপতি থাকিয়৷ স্বাধীনভাবে সপ্তগ্রামে ও সুবর্ণগ্রামে রাজত্ব করিয়াছিলেন। “পাঠানেরা ৩৭২ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন, তথাপি কোন কালে সমুদায় বাঙ্গালার অধিপতি হয়েন নাই। পশ্চিমে বিষ্ণুপুর ও পঞ্চকোটে তাহাদিগের ক্ষমতা প্রবিষ্ট হয় নাই ; দক্ষিণে সুন্দরবনসন্নিহিত প্রদেশে স্বাধীন হিন্দুরাজা ছিল ; পূর্বে চট্টগ্রাম, নোয়াখালি এবং ত্রিপুরা, আরাকানরাজ ও ত্রিপুরাধিপতির হস্তে ছিল ; এবং উত্তরে কুচবেহার স্বতন্ত্রত রক্ষা করিতেছিল। সুতরাং পাঠানেরা যে সময়ে উড়িষ্যা জয় করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, যে সময়ে র্তাহারা ১,৭১,০ a ০ পদাতিক, ৪০,০০০ অশ্বারোহী এবং ২০,০ 0 0 কামান দেখাইতে পারিতেন, সে সময়েও বাঙ্গালার অনেকাংশ তাহাদিগের হস্তগত হয় নাই ।”* বাঙ্গালার অধঃপতন একদিনে ঘটে নাই । চতুর্থ। পরাধীন রাজ্যের যে দুৰ্দশা ঘটে, স্বাধীন পাঠানদিগের রাজ্যে বাঙ্গালার সে দুৰ্দশা ঘটে নাই । রাজা ভিন্ন জাতীয় হইলেই রাজ্যকে পরাধীন বলিতে পারা যায় না । সে সময়ের জমীদারদিগেব যেরূপ বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে তাহাদিগকেই রাজা বলিয়া বোধ হয় ; তঁহার করদ ছিলেন মাত্র। পরাধীনতার একটি প্রধান ফল ইতিহাসে এই শুনা যায় যে, পরাধীন জাতির মানসিক স্মৃত্তি নিবিয়া যায়। পাঠানশাসনকালে বাঙ্গালীর মােন সক দীপ্তি অধিকতর উজ্জল হইয়াছিল। বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস বাঙ্গালার শ্রেষ্ঠ কবিদ্বয় এই সময়েই আবিভূতি ; এই সময়েই অদ্বিতীয় নৈয়ায়িক, ন্যায়শাস্ত্রের নূতন সৃষ্টিকৰ্ত্তা রঘুনাথ শিরোমণি ; এই সময়ে স্মৰ্ত্ততিলক রঘুনন্দন ; এই সময়েই চৈতন্যদেব ; এই সময়েই বৈষ্ণবগোস্বামীদিগের LLLLLLLLSLSLSLSLSLSLSLSLSLLLLLSLLLSLSLSSLL SA S LLLSLSL LSLSLSLSTS a दालालाबू ऐऊि शग, २० १छे।