পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৩০

NR NR V दिदिक्ष z বলিয়া ডাকিতে ডাকিতে মুচ্ছিত হইয়া পড়িলেন। দেখিয়া সীতাও উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিয়া উঠিয়া তমসার পদপ্রান্তে পতিত হইয়া ডাকিলেন, “ভগবাতি তমসে ! রক্ষা কর । রক্ষা কয় ! আমার স্বামীকে বঁাচাও !” তমসা বলিলেন, “তুমিই বঁচাও । তোমার স্পর্শে উনি বঁাচিতে পারেন!” শুনিয়া সীতা বলিলেন, “যা হউক তা হউক, আমি তাহাই করিব।” এই বলিয়া সীতা রামকে স্পর্শ করিলেন । (১) রাম চেতনাপ্ৰাপ্ত হইলেন । পরে সীতার পূর্বকালের প্রিয়সখী, বনদেবতা বাসস্তী সীতার পুত্রীকৃত করিশাবকের সহায়ান্বেষণ করিতে করিতে সেইখানে উপস্থিত হইলেন। রামের সঙ্গে তাহার সাক্ষাৎ হওয়ায়, রাম করিশিশুর রক্ষার্থ গেলেন । সে হস্তিশিশু স্বয়ং শত্রুজয় করিয়া করিণীর সহিত ক্রীড়া করিতে লাগিল। তদ্বর্ণনা অতি মধুর। যেনোদগচ্ছদ্বিসকিশলয়স্নিগ্ধদন্তাস্কুরেণ ব্যাকৃষ্টন্তে সুতনু লবলী পল্লবী: কর্ণপুরাৎ | সোহয়ং পুত্রস্তব মদমুচাং বারণানাং বিজেতা। BDDBDDS DBB BDY0 LLDDD DY YLDB S সখি বাসস্তি, পশ্য পশ্য, কান্তাম্ববৃত্তিচাতুৰ্য্যমপি অসুশিক্ষিতং বৎসেন। লীলোৎখাত মৃণালকাণ্ডকবলচ্ছেদেষু সম্পাতিতাঃ পুষ্পৎপুষ্করবাসিতস্ত পয়সো গণ্ডািষসংক্রান্তয়: | (১) “যা হউক তা হউক।” এই কথার কত অৰ্থগাম্ভীৰ্য্য ! বিদ্যাসাগর মহাশয় এই বাক্যের টীকায় লিখিয়াছেন যে, “আমার পাশিম্পর্শে আৰ্য্যপুত্র বঁাচিবেন কি না, জানি না, কিন্তু ভগবতী। বলিতেছেন বলিয়া আমি স্পর্শ করিব।” ইহাতে এই বুঝিতে হইতেছে যে, পাণিষ্পর্শ সফল হইবে কি না, এই সন্দেহেই সীতা বলিলেন, “যা হউক তা হউক!” কিন্তু আমাদিগের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বোধ হয় যে, সে সন্দেহে সীতা বলেন নাই যে, “যা হবার হউক!” সীতা ভাবিয়াছিলেন, “রামকে স্পর্শ করিবার আমার কি অধিকার ? রাম আমাকে ত্যাগ করিয়াছেন, তিনি আমাকে বিনাপরাধে বিসর্জন করিয়াছেন,-বিসর্জন করিবার সময়ে একবার আমাকে ডাকিয়াও বলেন নাই যে, আমি তোমাকে ত্যাগ করিলাম-আজি বার বৎসর আমাকে ত্যাগ করিয়া সম্বন্ধ রহিত করিয়াছেন, আজি আবার ভঁাহার প্রিয়পত্নীর মত র্তাহার গাত্ৰস্পৰ্শ করিব কোন সাহসে । কিন্তু তিনি ত মৃতপ্ৰায়। যা হউক তা হউক, আমি তা হাকে স্পর্শ করিব।” তাই ভাবিয়া সীতাম্পর্শে রাম চেতনাপ্ৰাপ্ত হইলে, সীতা বলিলেন, “ভঅবদি তমসোঁ ! ওসরক্ষা, জই দাবা মং পেকৃখিন্মদি তাঁদে অণব ভণুঞ্জাদসন্নিধাণেণ আহি অদৱং মম। মহারাও কুবিস্মদি ।” তবু "মিম মহারাও।”