পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর উৎপত্তি ŠაŠ سے নিকটকুটুম্ব কোচজাতি। তৎপরে উত্তরে, হিমালয়পৰ্ব্বতের ভিতরে বাস করে-ভোট, লেপছা, লিম্ব, কিরান্তী বা কিরাতী (প্রাচীন কিরাত )। তার পর বাঙ্গালার পূর্বদক্ষিণ সীমায় মগ, লুসাই, কুকি, কারেন, তালাইন প্রভৃতি জাতি। ত্রিপুরার ভিতরেই রাজবংশী নওয়াতিয়া প্রভৃতি জাতি আছে ; বাঙ্গালার পশ্চিম দিকে কোল, সঁওতাল, খাড়িয়া, মুণ্ড, কেঁড়োয়া, ওঁরাও বা ধাঙ্গড় প্রভৃতি অনাৰ্য্যজাতি বাস করে । এই শেষোক্ত কয়েকটি জাতির সম্বন্ধেই আমাদের অনেকগুলি কথা বলিতে হইবে । উত্তর ও পূর্বের অনাৰ্য্যদিগের সঙ্গে আমাদিগের ততটা সম্বন্ধ নাই, তাহারা অনেকেই হালের আমদানী । আমরা কেবল কয়েকটি প্রধান জাতির নাম করিলাম—জাতির ভিতর উপজাতি আছে এবং জন্যান্য জাতি আছে। প্ৰসঙ্গক্রমে তাহদের কথাও বলিতে হইবে। এখন প্রথম জি জ্ঞাস্য এই দে, ইহারা সকলে কি একবংশসম্ভত ? আর্য্যেরা সকলেই একবা শসস্তুত—আর্য শব্দের অর্থই তাই । কিন্তু “অনাৰ্য্য" বলিলে কেবল ইহাই বুঝাস BSBuDBB KB BBD SS BBDBBD DB BDBDS DBDBD BBD BB DKBDBDBBS BBB বুঝায় না। যদি এমত প্রমাণ থাকে যে, ইহার একবংশোদ্ভূত, তবে সহজে অনুমান করিতে পাব! মায় যে, ইতারা সকলেই বাঙ্গালার প্রথম অধিবাসী-আর্স্যেগণ কর্তৃক তাড়িত হইয়া, নানা স্থানে ছড়াইয়া পড়িয়া, নানা দেশে নানা নাম ধারণ করিয়াছে ; কিন্তু যদি সে প্রমাণ না থাকে-বরং তদ্বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকে যে, তাহারা নানা বংশীয়, তবে আবার বিচার করিতে হইবে, এই গুলির মপ্যে। কাহারা কাহারা বাঙ্গালার প্রথম অধিবাসী । প্রামাণ্য ইতিহাসের অভাবে ভাষাবিজ্ঞানের আবিক্রিয়। এ সকল বিষয়ে গুরুতর প্ৰমাণ । আমরা প্ৰথম পরিচ্ছেদে যে তিন শ্রেণীতে ভাষার কথা বলিয়াছি, তাহার মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর ভাষার অন্তর্গত আৰ্য্যভাষা ও সেমীয় ভাষা ( আরবী, হিব্রু প্রভৃতি ) ৷ প্ৰথম শ্রেণীর ভাষাগুলি—যাহা সংযোগনিরপেক্ষ অথবা বিভক্তিবিশিষ্ট নহে--সেই সকল ভাষাকে ইউরোপীয়েরা ভারত-চৈনিক বলিয়া থাকেন। নামটি আমাদিগের ব্যবহারের অযোগ্যআমরা ঐ ভাষাগুলি চৈনিকীয় ভাষা বলিব । দ্বিতীয শ্রেণীর ভাষার সাধারণ নাম তুরাণী । বাঙ্গালার মধ্য বা প্ৰান্তস্থিত অনাৰ্য্যজাতিসকলের ভাষা এহি দ্বিবিধ-কতকগুলি জাতির ভাষা চৈনিকীয়-ইহুদিগের বাস প্রায় আসামে বা বাঙ্গালার পূর্বসীমায়। তাহারা অনেকেই আর্যাদিগের পরে আসিয়াছে, এমত ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে। তার পর অবশিষ্ট যে সকল অনাৰ্য্যজাতি-তাহাদিগের সকলেরই ভাসা তুরাণীশ্রেণীস্থ । কিন্তু সেই সকল অনাৰ্য্যভাষার মধ্যেও জাতিগত পার্থক্য দেখা যায়। পুর্বেই কথিত হইয়াছে, দ্রাবিড়ভাষা তুরাণীশ্রেণীস্থ। বাঙ্গালার অনাৰ্য্যভাষার মধ্যে কতকগুলি জাতির ভাষার শব্দ সমাস ও ব্যাকরণ সমালোচনা করিয়া পণ্ডিতেরা দেখিয়াছেন যে,