পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্ৰৌপদী ( দ্বিতীয় প্ৰস্তাব ) দশ বৎসর হইল, বঙ্গদর্শনে আমি দ্রৌপদী-চরিত্র সমালোচনা করিয়াছিলাম । অন্যান্য আৰ্য্যনারী-চরিত্র হইতে দৌপদী চরিত্রের যে গুরুতর প্রভেদ, তাহা যথাসাধ্য দেখান গিয়াছিল । কিন্তু দ্রৌপদীর চরিত্রেব মধ্যগ্ৰন্থি যে তত্ত্ব, তাহার কোন কথা সে সময়ে বলা হয় নাই । বলিবার সময় তখন উপস্থিত হয় ৷ ই । এখন বোধ হয়, সে কথাটা व्न शॉर्ट् (८) *|(. ; সে তত্ত্বটার বহিবিকাশ বড় দীপ্তিমান-এক নারীর পঞ্চ স্বামী অথচ তাহাকে কুলটা বলিয়। বিবেচনা করি }র কোন উপায় দেখা যায় না ! এমন . অসামঞ্জস্যের সামঞ্জস্য কোথা তইতে হত গুল ? আমাদিগের ইউরোপীয় শিক্ষকেরা ইহার বড় সোজা উত্তর দিয়া থাকেন । ভারতবষীয়েরা বৰ্ব্বৰ জাতি-তাহাদিগের মধ্যে স্ত্রীলোকের বহুবিবাহ পদ্ধতি পূর্বকালে প্রচলিত ছিল, সেই কারণে পঞ্চ পাণ্ডবের একই পত্নী । ইউরোপীয় আচাৰ্য্যবর্গের আর কোন সাধা থাকুক। আর না থাকুক, এ দেশ সম্বন্ধে সোজা কথাগুলা বলিতে বড় মজবুত । ইউরোপীয়েরা এদেশীয় প্রাচীন গ্ৰন্ত সকল কিৰূপ বুঝেন, তদ্বিষয়ে আমাকে সম্প্রতি কিছু অনুসন্ধান করিতে হইলাছি ব: ; আমার এই বিশ্বাস হইয়াছে যে, সংস্কৃত সাহিতা বিষয়ে তাহার। যাহা লিখিয়ছেন, তঁহাদের কৃত বেদ স্মৃতি দশন পুরাণ ইতিহাস কাব্য প্রভৃতির অনুবাদ, টীকা, সমালোচন পাঠ করার অপেক্ষা গুরুতর মহাপাতক সাহিত্যজগতে আর কিছুই ঠাইতে পারে না ; আল মুখত উপস্থিত করিবার এমন সঙ্গ জ উপায়ও আর কিছুই নাই । এখনও অনেক বাঙ্গালি তাহ পাঠ করেন, তঁহাদিগকে সতর্ক করিবার জন্য এ কথাটা কতক অপ্রাসঙ্গিক হ'ষ্টলেও আমি লিখিতে বাধ্য হইলাম । ংস্কৃত গ্রন্থের সংখ্যা। নাই বলিলেও হয় ; ধতি অনুসন্ধান হইতেছে, তত নূতন নূতন গ্ৰন্থ আবিষ্কৃত হইতেছে । সংস্কৃত গন্ত গুলির তুলনায়, অন্ততঃ আকারে, ইউরোপীয় গ্রন্থগুলিকে গ্ৰন্থ বলিতে ইচ্ছা করে না । যেমন হস্তীর তুলনায় টেরিয়র, যেমন বটবৃক্ষের তুলনায় উইলো, কি সাইপ্রেস, যেমন গঙ্গ। সিন্ধু গোদাবরীর তুলনায় গ্রীক কবিদিগের প্রিয় পাৰ্ব্বতী নিঝরিণী, মহাভারত বা রামায়ণের তুলনায় একখানি ইউরোপীয় কাব্য সেইরূপ গ্ৰন্থ । বেদের সংহিতা, ব্ৰাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, গৃহ্যসূত্র, শ্রেীতসূত্ৰ, ধৰ্ম্মসূত্ৰ, দর্শন, এই সকলের ভাষ্য, তার টাকা, তার ভাষ্য, পুরাণ, ইতিহাস, স্মৃতি, কাব্য, অলঙ্কার, ব্যাকরণ,