পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

గీత দূতের প্রণীত গ্রন্থ আছে এবং উহা কোন সময়ে প্রণীত হইয়াছিল তাহ জানা আছে, সুতরাং চন্দ্রগুপ্ত রাজার সময়ও তদ্বারা জানা হইয়াছে। এই ; এক মাত্র পরিজ্ঞাত বস্তুর উষ্ণুর নির্ভর কন্থিয়ী স্থাগু সমুদায় ঐতিহাসিক বিবরণের সময় নিৰ্দ্ধারণের চেষ্ট হইয়া থাকে স্বতরাং হুঙ্কামুহুঙ্ক বিচার । যথেষ্ট হয় বটে, কিন্তু প্রকৃত ঘটনাবলীর সহিত মিলাইবার কোন উপায় না থাকায়, বিচারকদিগের মধ্যে অপরিসীম মতভেদ জন্সিয়া যায়, এবং প্রকৃত বিষয়ের সহিত মিলাইতে না পারিলে, বিচার যেরূপ গলগোময় হইয়া থাকে, এখানেও তাঁহাই হয়। . কিন্তু যিনিই যাহা বলুন, মৃচ্ছকটিক নাটক নিতান্ত অল্প দিনের বস্তু নয়। উহা রামায়ণ এবং মহাভারতের পরবর্তী ত বটেই, রাজা চন্দ্রগুপ্তেরও কিছু পরবর্তী। কিন্তু তাহ অপেক্ষ অল্পদিনের বলিয়া কোনরূপেই প্রমাণিত হয় না। তবে এক জন ইউরোপীয় পণ্ডিত, বলিয়াছেন বটে যে, মৃচ্ছকটিকের “আৰ্য্যক” নামক পুরুষটা যিমুখুষ্টের ছায়া হইতে প্রাপ্ত। যদি ওরূপ কথা কিছুমাত্র শ্রদ্ধার যোগ্য হইত, তাহা হইলে বিচার করা যাইত। ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক বিবরণ অথবা গ্রন্থাদি প্রণয়নের কাল নির্ণয় বাহিরের সহিত মিলাইতে গেলেই অধিক গোলযোগ হইয়া পড়ে। আভ্যন্তরিক ঘটনামাত্র লইয়া তাহাদিগের পূর্বপরতার নির্ণয়ে সকল স্থলে ততটা গোলযোগ হয় মা। " . . মৃচ্ছকটিক এত প্রাচীন বলিয়াই ইহার রচনা এত সরল। ইহার ভাষায় অলঙ্কার পারিপাট্যের জষ্ঠ যন্ত্রের আধিক্য নাই, এবং বর্ণিত বিষয়টা বুঝাইবার দিকে ইহার যত দৃষ্ট, বর্ণন-কৌশলের দিকে দৃষ্টি তত অধিক বোধ হয় না। । কিন্তু ভাষার পারিপাটাের দিকে দৃষ্টি অধিক বোধ হয় না বলিয়াই যে, মৃচ্ছকটিক নাটক রচনা-কৌশল শূন্ত তাহী নহে।. একটু নিপুণ হইয়। দেখিলেই, উহাতে গুঢ় রচনাকৌশলের ভূরি ছুরি প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। 》馨